পাহাড়ে এবার বারোমাসি কাটিমন আমের সফল চাষ ও বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত শুরু হয়েছে। খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার সফল উদ্যোক্তা এনামুল হক পাহাড়ে প্রথম বারোমাসি কাটিমন আমের চাষ করে সফল হয়েছে।
লম্বাটে আকারের, পাকলে আকর্ষণীয় হলুদ বর্ণের এই কাটিমন আমের বিশ্বজোড়া খ্যাতি মিষ্টতার জন্য। দারুন মিষ্টি এবং আশ নেই বললেই চলে। এটি থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। একই গাছে একসাথে মুকুল, ছোট, মাঝারি, বড়, পাকা আম থাকে বা যে কোন পর্যায়ের মুকুল বা আম থাকে।
এনামুল হক ২০১৬ -১৭ সালে প্রথম শুরু করেন বারোমাসি কাটিমন আমের চাষ। তিনি জানান, ১০০০ গাছ থেকে ৭ মে. টন আম বাজারজাত করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। পাহাড়ে বারোমাসি আমের বাগানের সফলতার খবর পেয়ে সম্প্রতি বাগান ঘুরে দেখেন কৃষি বিভাগের খাগড়াছড়ি উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কিশোর কুমার মজুমদার। তিনি জানান, এ আমের চাষ পাহাড়ের কৃষি অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
জানা গেছে, মানিকছড়ি উপজেলার ২২৪ নং কুমারী মৌজার বড়টিলা এলাকায় ২০ একর টিলা ভূমির ঢালুতে মিশ্র ফলদ বাগান করেন এনামুল হক। ২০১৬-১৭ সালের পর ১০০০ মিষ্টান্ন মাল্টা, ১০০০ বারোমাসি কাটিমন আমের চারা দিয়ে মিশ্র ফলের বাগান সৃজন করেন। পরর্বতীতে ২০২০-২১ সালে নতুন করে আমের চারার পরিমান বাড়িয়ে বাগানের পরিধি বৃদ্ধি করেন।
তিনি জানান, এরপর কায়িক শ্রম ও অর্থ ব্যয়ে মিশ্র ফলদ বাগান পরির্চচা ও আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া পেতে কৃষিবিদদের নিয়মিত সহয়তা নিয়ে ৬ বছরেই বাগানটিকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে নিতে সক্ষম হন। প্রথমে মাল্টা বাজারজাত করে সফলতার দ্বার উন্মোচিত হয় তার। চলতি মাসে বারোমাসি কাটিমন আম উৎপাদন হয় ৭০০০ কেজি। আমের ভরা মৌসুমে কেজি ২০০ টাকা এবং বর্তমানে ৪০০ টাকা করে পাইকারী বিক্রি করেন বারোমাসি কাটিমন আম। বর্তমানে এক-তৃতীয়াংশ বারোমাসি আম গাছে আবারো নতুন করে ফুল-ফলে ভরে উঠেছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল