ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বন্যার কারণে নেত্রকোনায় আবাদ দেরিতে, শঙ্কায় চাষিরা
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনা জেলায় এ বছর দুই দফা বন্যা শেষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের রোপা আমন আবাদ শেষ হয়েছে দেরিতে। পিছিয়ে গেছে ফলনের সময়ও। পাহাড়ি সমতলসহ হাওরের বিভিন্ন এলাকায় সেপ্টেম্বর মাস পেরিয়ে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলেছে এ আবাদ।

বিলম্বে আবাদের কারণে ভালো ফলন না হওয়া নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা। এছাড়াও রয়েছে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ও সারের মজুদ রেখে বাড়তি দামে বিক্রির অভিযোগ। এদিকে বন্যার ফলে দেরিতে আবাদের বিষয়টি স্বীকার করে কৃষির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানালেন, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়ে বেশি আবাদ হয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দফায় দফায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মৌসুম গেলেও পিছিয়ে আবাদ হয়েছে জেলার হাওরসহ নিচু এলাকাগুলোতে। যেমন পাহাড়ি উপজেলা দুর্গাপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে মৌসুমের মাঝেই আবাদ শেষ হলেও বাকলজোরা এবং কাকৈড়গড়া ইউনিয়নে মৌসুম পার করে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে জেলার হাওরাঞ্চল মদন এবং আটপাড়ার তেলিগাতি, কৃষ্ণপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় পানি থাকায় আবাদ বিলম্ব হয়েছে।

পানি যেখান থেকে সরছে কৃষকরা সেখানেই চারা রোপণ করছেন। আবাদ পিছিয়ে যাওয়ায় ফলনে শীতকালে কোল্ড ইনজুরিতে পড়ার শঙ্কায় কৃষকরা। কোথাও কোথাও ফিশারি করে পানি আটকে রাখায় তাদের আমন আবাদে বিলম্ব হওয়ার কথা জানান। পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধানের দর কম হওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন তারা।

নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (খামারবাড়ি) উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, জেলায় এবছর রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৮০ হেক্টর। তার মধ্যে আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭৫ হেক্টর। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় খুশি প্রকাশ করেন তিনি।

পাশাপাশি বিলম্ব হওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, কোথাও কোথাও হয়তো পানি জমে থাকায় পকেট সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। তবে ফলন ভালো হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। জ্বালানির দাম বাড়ার বিষয়টিও স্বীকার করে তিনি বলেন, সারের দাম কৃষকের ক্রয়-ক্ষমতায় রাখার জন্য প্রতিনিয়ত তারা মনিটরিং করেছেন। তবে বন্যায় ফলনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এখন থেকেই রবিশস্য আবাদের প্রস্তুতি রাখার কথাও জানান তিনি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর