ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ঝালকাঠিতে মাছ ধরার ফাঁদ বানিয়ে স্বাবলম্বী অনেক পরিবার
এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি:

ঝালকাঠিতে দেশীয় মাছ ধরার ফাঁদ ‘চাই-বুচনা’ তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেক পরিবার। খাল ও বিলে মাছ ধরতেই মূলত চাই-বুচনা ব্যবহার হয়। বর্ষাকালে দেশীয় মাছের মৌসুম থাকায় এ সময়ই জমে ওঠে ‘চাই-বুচনা’র কেনাবেচা। প্রাচীনকাল থেকেই ঝালকাঠিসহ গ্রাম-গঞ্জে খাল বিলে দেশিয় মাছ ধরার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় ‘চাই-বুচনা’র প্রচলন রয়েছে। কিন্তু সম্ভাবনাময় এ কুটির শিল্পটি সরকারী বা বেসরকারী কোনো সুযোগ সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এতো বছরেও বিসিকের নিবন্ধিত হতে পারেনি। তবে ঝালকাঠি বিসিক কর্তৃপক্ষ এখন বলছেন, ‘চাই-বুচনা’র কারিগরা বিসিকে আসলে তাদেরকে নিবন্ধিত করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।

ঝালকাঠিতে খুবই জনপ্রিয় মাছ ধরার দেশীয় ফাঁদ চাই ও বুচনা। বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন আকার ও আঙ্গিকে তৈরি এ চাই বুচনার রয়েছে বিভিন্ন নাম। কোনোটিকে বলা হয় চাই, কোনোটি বুচনা, কোনোটিকে গড়া কিংবা চরগড়া, আবার কোনোটির নাম খুচইন। চাই বুচনা দিয়ে চিংড়ি শিং বাইন মাছসহ আরও বিভিন্ন প্রকারের মাছ ধরা সম্ভব হয়।

কয়েকজন কারিগর, ক্রেতা ও বিক্রেতা বলেন, একেকটি বুচনা বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। একটি চাই বা বুচনা তৈরি করতে খরচ হয় ১৫০ টাকা। বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ঘরে বসেই পরিবারের সদস্যরা তৈরি করেন চাই ও বুচনা। ঝালকাঠির রমজানকাঠি গ্রামসহ আশে পাশের অনেক গ্রামেই কারিগররা চাই-বুচনা তৈরির কাজ করে থাকেন। বছরের ৫ মাস তারা এ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিবছর বর্ষা থেকে শীত পর্যন্ত এসব ফাঁদ বিক্রি হয় জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে। এদিকে চাই-বুচনার কারিগরদের অভিযোগ তারা কোনোরকমই কোনো সরকারী সহয়তা ও ঋণ পায় না। এ ব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। কোনো দপ্তরে সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও, জেলার সহস্রাধিক মানুষ এ মৌসুমী পেশায় জড়িত বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

ঝালকাঠি বিসিক এর উপব্যবস্থাপক মো: শাফাউল করিম বলেন, এ শিল্পটিকে নিবন্ধিত করা হবে এছাড়া চাই-বুচনা তৈরীর কারিগরদের প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা বা প্রনোদনা দেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর