ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

শীতকালীন সবজি ফুলকপিতে ভরে গেছে বগুড়ার বাজার
আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

শীতকালীন সবজি ফুলকপিতে ভরে গেছে বগুড়ার বিভিন্ন বাজার। চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে উৎপাদনও বেড়েছে দ্বিগুণ। ভালো দাম পাবার আশায় কৃষক আগাম চাষ করছে ফুলকপির। শুধু ফুলকপিই নয় এর পাশাপাশি শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি, শিম, টমেটো, আলু, বরবটিসহ অন্যান শাক-সবজি চাষ করা হচ্ছে। এসব সবজি বগুড়ার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে কৃষকরা ভালো দামও পাচ্ছে। সবজির ন্যায্য মূল্য পেয়ে বেশিরভাগ কৃষকই ঝুঁকছেন শীতকালীন সবজি চাষে। এতে করে একদিকে যেমন দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত হচ্ছে অন্য দিকে বদলে যাচ্ছে কৃষকের জীবনযাত্রার মান।

  বগুড়ার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন অন্যান্য সবজির পাশাপাশি বাজারে ফুলকপি প্রচুর আমদানি হয়েছে। দামও চড়া। দাম চড়া হলেও নতুন সবজি হিসেবে অনেকেই কিনছেন। বাজারে প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। 

বগুড়া রাজাবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, বাজারে আগাম ফুলকপি আসা শুরু হয়েছে। দাম একটু বেশি। তবে বাজারে ফুলকপির চাহিদা আছে। নতুন সবজি হিসেবে বিক্রিও ভালো হচ্ছে। আর কিছু দিন পরে আরো বেশি আমদানি হবে। তখন হয়তো দাম অনেকটা কমে যাবে। শীতের সবজি ফুলকপির স্বাদ আলাদা হওয়ার কারণে ক্রেতারা অন্য সবজির পাশাপাশি ফুলকপি বেশি কিনছেন। 

তিনি বলেন, পাইকারী বাজারে ফুলকপির সবচেয়ে বড় হাট মহাস্থান হাট। এখান থেকে প্রতিদিন শতশত ট্রাক ফুলকপি দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

জানা যায়, বগুড়ার অন্যান্য উপজেলার মধ্যে শিবগঞ্জ, শাজাহানপুর, ধুনট, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, নন্দীগ্রাম উপজেলা আগাম শীতকালীন সবজির চাষ বেশি হয়। এসব উপজেলার কৃষকরা প্রতি বছর বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে থাকেন। অন্য আবাদের চেয়ে সবজি চাষে অধিক লাভবান হওয়া যায়। যে কারণে কৃষকরা এখন পতিত বা ফেলে রাখা জমিতেও সবজি চাষ করছেন। ফলে উৎপাদন আগের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। 

সবজি কিনতে আসা আব্দুল মোত্তালেব জানান, শীতকালীন অন্যান্য সবজির তালিকার মধ্যে আমার পরিবারের সদস্যরা ফুলকপি বেশি পছন্দ করে। এ সবজি খেতে ভালো লাগে। তাই আজ বাজারে ফুলকপি কিনতে এসেছি। দাম একটু চড়া। তবে হয়তো আর কিছুদিন পরে আমদানি বেড়ে গেলে দাম কমবে। 

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দুলাল হোসেন জানান, এ বছর বগুড়ায় আগামজাতের শীতকালিন সবজি চাষ হয়েছে ২ হাজার ৮’শ হেক্টর জমিতে। যা থেকে আগাম শীতকালিন প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিকটন ফলন পাওয়া যাবে। আগাম শীতকালিন সবজির চাষ আরো বাড়বে। গত বছর ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষ করেছিলেন চাষিরা। তা থেকে গত বছর প্রায় ৫৪ হাজার মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যায়। বগুড়ায় চাষকৃত সবজি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়ে থাকে। তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবছর প্রচুর শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে। বাজারে ফুলকপির আমদানি প্রতিদিন বাড়ছে। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর