ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরে লোকালয়ে ক্ষুধার্ত মুখপোড়া হনুমান
দিনাজপুর প্রতিনিধি

খাবারের খোঁজে বন-জঙ্গল ছেড়ে দিনাজপুরের লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কালো মুখের হনুমান। দিনাজপুর সদরের দক্ষিণ কোতয়ালীর সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন গ্রামের লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে হনুমানটি। কেউ দেখে ভয় পাচ্ছে আবার অনেকে তাকে দেখে ঢিল মারার কারণে পালিয়ে যাচ্ছে। এভাবে হনুমানটি এক এলাকা থেকে অন্য এলাকা ছোটাছুটি করছে। 

কোথাও নির্দিষ্টভাবে থাকছে না। তবে অনেকে তাকে দেখে খাবারও দিচ্ছেন এবং সে খাবার ভয়ে ভয়ে নিয়ে খাচ্ছে। তবে হনুমানকে দেখে অনেকে বলছেন, সে ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত। এই বন্যপ্রাণীগুলোকে রক্ষা করতে বনবিভাগের এগিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য স্থানীয়দের। 

শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার দিনাজপুর সদর উপজেলার উথরাইল ইউনিয়নের নুনাইচ কাকিলা দিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের বটের গাছে দেখা যায়।

ওই এলাকার জিন্নাত হোসেন জানান, কালো মুখওয়ালা হনুমান দেখে কিছু কৌতূহলী মানুষ আনন্দ পেলেও, অনেকে আবার ভয়ও পাচ্ছেন। কেউ হামলার আশংকায় তাকে তাড়া করেন। তাড়া খেয়ে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছুটে চলতে ক্ষুধার্ত এবং ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এই দুর্গতি দেখে খাবার নিয়ে এগিয়ে এসেছে অনেকে। ঠিক মতো খাবার না পেয়ে লোকালয়ে আসা অসহায় হনুমানটি ক্ষুধার্ত এবং দুর্বল হয়ে পড়ছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে অনেকে। তবে তাদের পুনর্বাসনে সরকারী-বেসরকারী ভাবে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। কারণ সকল বন্য প্রাণীকে রক্ষা করতে হবে। তা না হলে আমাদের পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে। 

মোসাদ্দেক হোসেন জানান, কয়েকদিন আগে হঠাৎ একটি মুখপোড়া জাতের হনুমান এলাকায় এসে গাছে-মানুষের বাড়ির চালেসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিচ্ছে। সে কোনো ক্ষতি করেনি। যে কেউ তাকে কলা খেতে দিলে, কলা নিয়ে চলে যায়। শুক্রবার বিকেলে দিনাজপুর সদরের উথরাইল ইউপির স্থানীয় অনেকে নুনাইচ কাকিলা দিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের বট গাছে থাকা অবস্থায় খাবার দেন।

এ ব্যাপারে দিনাজপুর বনবিভাগের বীট কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, এটি মুখপোড়া জাতের হনুমান। সে কারো ক্ষতি করবে না। তাকে খাবার দিলেই চলে যাবে। সে উন্মুক্ত থাকলেই ভালো থাকবে। মনে হচ্ছে এটি সীমান্তের ওপার থেকে লোকালয়ে এসেছে। যেকোনো সময় সে চলেও যেতে পারে। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর