ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ক্ষেতের ফসল কাটল দুর্বৃত্তরা, বুকে জড়িয়ে কাঁদলেন হালিমা
কুমিল্লা প্রতিনিধি

ক্ষেতের কেটে ফেলা ফসল বুকে জড়িয়ে কাঁদলেন হালিমা। যেন সন্তান হারানো মায়ের আহাজারি! কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার মরা ছাড়া আর কি উপায় আছে! আমার সব শেষ কইরা দিছেরে. . .। আমার মুখের খানা কাইড়া নিছেরে।’ 

পরিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে কৃষাণীর জমির ফসল কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ইতোমধ্যে তার কয়েকটি কান্নার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পরিহলপাড়া এলাকার হালিমা খাতুন নামের ওই নারীর আর্তনাদের ছবি ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। 

কৃষাণী হালিমা খাতুন বলেন, আমার স্বামী  ইউনুস মিয়া অসুস্থ। কাজ করতে পারেন না। ছেলে মেয়ে খাওয়াতে হলে কিছু একটাতো করতে হবে। এই চিন্তা থেকে ২২ শতকক জমি বর্গা ও এক লাখ টাকা ঋণ নিয়ে নিজে সবজি চাষ করতে শুরু করি। দেড় মাস আগে পাশের বাড়ির লোকজনের সাথে ঝগড়া হয়। সেদিন রাতে তারা লাউ গাছগুলো কেটে দেয়। গত শুক্রবার গাছের পাতা কুড়ানো নিয়ে তাদের সাথে আবার ঝগড়া হয়। সেদিন রাতে তারা বেগুন গাছগুলো কেটে দিয়ে গেছে। শনিবার ফসল কাটা নিয়ে মানুষকে জানানোর প্রস্তুতি নিলে তারা শনিবার রাতে শিম গাছগুলো কেটে দিয়েছে। একবার বা দুইবার নয় এপর্যন্ত ৫ বার তার ফসলের জমি নষ্ট করেছে। এত টাকার ক্ষতি কিভাবে পূরণ করবো জানি না। 

বুড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বানিন রায় বলেন, খবর শুনে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। হালিমা খাতুন খুবই দরিদ্র কৃষাণী। হিসেব করে দেখেছি তার প্রায় ৬০ হাজার টাকার অধিক ফসল নষ্ট হয়েছে। তিনি লিজ নিয়ে জমিটা চাষ করেছেন। এভাবে তার ক্ষতি যে করেছে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া দরকার।  আমরা কোন প্রকল্পের আওতায় তাকে সহযোগিতার চেষ্টা করবো।

বুড়িচং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি। আমরা অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর