ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

প্রকৃতিপ্রেমী ভ্রমণপিপাসুদের ডাকছে কাঞ্চনজঙ্ঘা
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকৃতিপ্রেমী ভ্রমণপিপাসুদের ডাকছে কাঞ্চনজঙ্ঘা

নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া থেকে দেখা যাচ্ছে পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য মেলে ধরে সীমান্তের ওপারে জেগে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা প্রকৃতিপ্রেমী ভ্রমণপিপাসুদের দুহাত বাড়িয়ে ডাকছে। কাঞ্চনজঙ্ঘার মোহনীয় মনোমুগ্ধকর শোভা উপভোগ করতে হাজারো ভ্রমণপিপাসু প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটক আসছেন তেঁতুলিয়ায়।

স্থানীয়রা বলছেন, বাংলাদেশের নানা প্রান্ত থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে আসা পর্যটকদের পদচারণায় উৎসবের আমেজ চলছে তেঁতুলিয়ায়। পর্যটকরা ভোর বেলা উঠে মহানন্দা নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা নয়ন জুড়ানো ডাকবাংলো পাড়ে সমবেত হচ্ছেন কাঞ্চনজঙ্ঘার রুপ অবলোকন করার জন্য। যদিও গত কয়েকদিন থেকে কুয়াশায় আকাশ ঢেকে থাকার কারণে দেখা মিলছে না কাঞ্চনজঙ্ঘা। তারপরও ছুটে আসছেন হাজার হাজার পর্যটক।

কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে না পেলেও তারা তেঁতুলিয়ায় শীত আর মহোময় প্রকৃতি উপভোগ করছেন। এই আবহাওয়া, প্রকৃতি আর পরিবেশ উপভোগ করতে ছুটে আসছেন রাজনৈতিক সর্বস্তরের মানুষ। তবে এখানে পর্যটকদের জন্য খুব বেশি আবাসিক বাসস্থান গড়ে না ওঠার কারণে অনেক পর্যটককে বিব্রত হতে হয়।

তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসন স্থানীয়দের বাড়িতে বাড়িতে অতিথি রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। সেই সাথে কমিউনিটি ট্যুরিজমকে উৎসাহিত করছেন। এরই মধ্যে অনেকেই নিজেদের বাড়ির অতিরিক্ত কক্ষগুলোতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করছেন।

ঘুরতে এসে নাট্যকার নির্দেশক এবং অভিনেতা আশিষ খন্দকার বলেন, এখানে এলে পুরো ভারতবর্ষের ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায়। তেঁতুলিয়ার হেমন্তের শীত প্রথম প্রেমিকার সাথে প্রথম দেখা হওয়ার মতো। এখানে এসে আমি ‘টাইমলেস’ হয়ে যাই। এখানকার পানি বাংলাদেশের সবচেয়ে সুপেয় পানি।

উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহুমুদুর রহমান ডাবলু জানান, অসংখ্য পর্যটক আসছেন। তেঁতুলিয়ায় এখন উৎসব চলছে বলা যায়। পর্যটকদের আনন্দ দেয়ার জন্য আরও উদ্যোগ প্রয়োজন আছে। তেঁতুলিয়াকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, তেঁতুলিয়ায় শীত বিরাজ করছে। এই শীত উপভোগ করার জন্য পর্যটকরা ছুটে আসছেন। পর্যটকদের সুবিধার জন্য আমরা নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো সংস্কার করা হয়েছে। মহানন্দা নদীর তীরগুলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ নজরদারি রয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর