ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জে শুকনা বীজতলায় কৃষকের সফলতা
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জে কৃষকরা শুকনা বীজতলায় সফলতা পেয়েছে। প্রতি বছর বীজতলার পরিধি বাড়ছে। জেলার সর্বত্রই এই পদ্ধতি চালু হয়েছে। 

ঘিওর উপজেলার নজেশ আলী বলেন, আগে আমরা ইরি- বোর ধানের বীজতলা বর্ষার পানিতে তৈরি করতাম। অনেক সময় বর্ষার পানি আগে পরে নেমে যায়। যার কারণে সময়মত বীজ তৈরি হয় না। শুকনা বীজতলার চারা কখনো লালচে হয় না। এই চারার ফলনও ভাল। আমাদের এলাকার প্রায় নব্বইভাগ মানুষ এই পদ্ধতিতে বোর চারা করে থাকে।

সদর উপজেলার আলামিন জানান, আমরা সাধারণত বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর সেই কাদা মাটিতে বীজতলা করতাম। এখন আর সে অবস্থা নেই। যে যখন সুবিদা মনে করে সেই সময় হিসেব করে বীজতলা তৈরী করে। আগে আমরা চারার জন্য অপেক্ষা করতাম। এখন যার যতটুকু প্রয়োজন সেই মত বীজতলা তৈরি করেন। এখন চারার কোন কমতি নেই।

মানিকগঞ্জ কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ বলেন, মানিকগঞ্জে শুকনা বীজতলায় সফলতা পাচ্ছে কৃষক। জেলার সর্বত্রই শুকনা বীজতলার চারার চাহিদা তৈরি হয়েছে। এ চারা লালচে হয় না। তাড়াতাড়ি মাটিতে শিকড় ছড়িয়ে শক্তিশালী হয়। ধান অন্য চারার চেয়ে আগে আসে এবং ফলনও ভালো হয়। এসব চারা কুয়াশায় ক্ষতি করতে পারে না। মানিকগঞ্জে এখন ষাট থেকে নব্বই ভাগ জমিতে এই শুকনা বীজতলার চারা রোপণ করা হয়।  

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন



এই পাতার আরো খবর