ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সিদ্দিকের টক বড়ই এখন নতুন উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন
সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে ২৭ একর জমিতে আগাম জাতের টক বড়ই চাষ করেছেন ওই এলাকার সিদ্দিক হোসেন নামের এক কৃষি উদ্যোক্তা। এ বছর প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার টক বড়ই বিক্রি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে উপজেলা ও জেলার কৃষি উদ্যোক্তাদের। ১৭ বছর বয়সী এই টক বড়ই বাগানকে কেন্দ্র করে এলাকার নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের প্রতিদিন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে বলে জানান কাজ করতে আসা শ্রমিকরা।   

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোটছোট গাছে হলুদ হয়ে আছে আগাম জাতের পাকা বড়ই। শ্রমিকরা ঝাকি দিয়ে গাছ থেকে পাকা বড়ই সংগ্রহ করছে। তা পরিমাপ করে বস্তায় প্যাকেট করে তোলা হচ্ছে পিকাপ বা ট্রাকে। প্রতিদিন প্রায় একশ থেকে একশ’বিশ মন বড়ই পাঠানো হচ্ছে ঢাকার কারওয়ানবাজার এলাকায়। আগাম জাতের এই টক বড়ই পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা মণ পাইকারী বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান বাগানের শ্রমিকরা। প্রতিদিন বিভিন্ন উপজেলা থেকে নতুন উদ্যোক্তারা আসেন সিদ্দিকের টক বড়ইয়ের বাগান দেখতে। 

সাগরদিঘী এলাকার জামাল হোসেন বলেন, সিদ্দিক ভাইয়ের টক বড়ইয়ের বাগান দেখতে আসছি, ওনার কাছে পরামর্শ নিয়ে আমিও একটি বাগান করবো। 

তোফাজ্জল হোসেন বলেন, জমি লিজ নিয়েছি, এখন সিদ্দিক ভাইয়ের পরামর্শ নিয়ে টক বড়ইয়ের চারা লাগাবো।      বড়ই চাষী সিদ্দিক হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আজ থেকে ১৭ বছর আগে একটি এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা লোন তুলে অন্যের জমি লিজ নিয়ে এই টক বড়ই চাষ করি। আমাকে তখন অনেকেই পাগল বলতো। এখন আমার কাছে শতশত যুবক আসে টক বড়ই চাষের পরামর্শ নিতে। আমি টক বড়ইয়ের বাগান করে এই বছর প্রায় আশি লক্ষ টাকার বড়ই বিক্রি করেছি। এখন আমার দেখাদেখি বাগান করলে আপনাদের লাভ হবে না। কৃষি কাজ নিয়ে গবেষণা করতে হবে, প্রচুর ধৈর্য্য থাকতে হবে, সময় দিতে হবে তবেই সাফল্য। আমি গত বছরও ৬০ লক্ষ টাকার বড়ই বিক্রি করেছি।   সখীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আয়েশা আক্তার বলেন, আগাম জাতের টক বড়ই চাষী সিদ্দিক হোসেন একজন সফল ও লাভবান কৃষি উদ্যোক্তা। তাকে দেখে এখন নতুন করে অনেকেই আগাম জাতের টক বড়ই চাষ করতে আগ্রহী। আমরাও মাঝে মধ্যে ওই টক বড়ই বাগান পরিদর্শনে যাই। সে উপজেলা ও জেলা থেকে অনেক পুরস্কার পেয়েছে। সিদ্দিক এখন নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন। সিদ্দিকের সাফল্য দেখে আমরাও খুশি।   বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর