ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

রামরাই দীঘিতে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি
আব্দুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও
রামরাই দীঘিতে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি

শীত এলেই প্রকৃতি সজ্জিত হয় তার অপার সৌন্দর্যের লীলাখেলায়। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় অবস্থিত পুরনো ঐতিহাসিক রামরাই দীঘিতে। অতিথি পাখির আগমনে তার নতুন সাজ আরো বাড়তি সৌন্দর্যে মোহিত হয়েছে।

প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির সমাগম হয়েছে রামরাই দীঘিতে। পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে পুরো এলাকা মুখরিত হচ্ছে প্রতিদিন। পাখিপ্রেমী ও সৌন্দর্য পিপাসুরা এক ঝলক পাখিগুলোকে দেখার জন্য ছুটে আসছেন দূর-দূরান্ত থেকে।

রানীশংকৈল উপজেলা শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে উত্তরগাঁও মৌজায় বরেন্দ্র অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাশয় রামরাই দীঘির অবস্থান। প্রতিদিন এক হাজারের বেশি পর্যটক আসেন দীঘিটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে। প্রায় ৪২ একর জমিজুড়ে রামরাই দীঘি অবস্থিত। প্রতি বছরেই এই দীঘিতে আসেন অতিথি পাখির দল। দেশের নদ-নদী, হাওর-বাওড়ের ভালোবাসার টানে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে রামরাই দিঘীতে আসে এসব পাখি।

শীত এলেই নতুন রূপে সাজে পুরো দীঘির জলাশয়। অতিথি পাখি ও জলাশয়ের প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। আর মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্য দেখতে ছুটে আসেন পাখি ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।

অতিথি পাখির মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করতে পেরে খুশি দর্শনার্থীরাও। আমজাদ হোসেন নামে এক দর্শনার্থী বলেন, আমি পঞ্চগড় থেকে এসেছি শুধুমাত্র রামরাই দীঘির এই পাখিগুলো দেখার জন্য। এখানে পাখিগুলোর কিচিরমিচির মনকে মুগ্ধ করে দেয়।

আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে আরেকজন বলেন, পাখিগুলো প্রতিবছর শীতেই আসে এই দীঘিতে। তবে পাখি রক্ষায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।

রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, পাখি শিকার করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর