ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ট্রে’তে ধান চারা উৎপাদনে ঝুঁকছে ‍বিরামপুরের কৃষকরা
দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রযুক্তিগত সহায়তায় দিনাজপুরে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে উদ্যমী কৃষক। ফলে দিন বদল হচ্ছে কৃষকদের, গতি সঞ্চার হচ্ছে কৃষি অর্থনীতির। 

শ্রম, স্থান, সেচ খরচও কম লাগে এবং ভালো মানের চারা পেতে কৃষকরা ঝুঁকেছে ট্রেতে বীজ ধানের চারা তৈরীতে। তাই শীত ও কুয়াশাকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন উপজেলায় ইরি-বোরো ধান রোপণে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ট্রেতে ধানের চারা তৈরি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে আধুনিক পদ্ধতিতে ট্রেতে বীজ ধানের চারা উৎপাদন করছেন কৃষক। পরে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে জমিতে রোপণ করা হচ্ছে। মাঠে বোরো ধানের বীজ ও চারা রোপণের কাজ শুরু করেছে কৃষক।

সুসেন চন্দ্র রায়, রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন কৃষক জানান, সনাতন পদ্ধতির চেয়ে এ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরিতে শ্রম, স্থান, সেচ খরচও কম লাগে এবং ভালো মানের চারাও পাওয়া যায়। আবার এই ট্রে’টি সরাসরি যান্ত্রিক পদ্ধতিতে জমিতে রোপণ করা হচ্ছে। এতে ফলনও ভালো পাওয়া যায়। 

আধুনিক পলিনেট পদ্ধতিতে চাষ আবাদ ও ট্রে’তে বীজ ধানের চারা উৎপাদন ও রোপণ, জমি পতিত ফেলে না রাখা, কম খরচে অধিক ফসল ও ফলন বৃদ্ধি, শীতজনিত কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলার যাতে ক্ষতি না হয়, এজন্য কৃষককে রাতের বেলা হালকা পানি ও পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখা ও সকাল হলে পলিথিন খুলে বীজতলার পানি ফেলে নতুন পানি দেওয়া এবং ফসলে পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে তরিৎ পদ্ধতিতে ফসল রক্ষা করা যায়। এ ধরনের নানান পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। 

এবার বিরামপুরে প্রায় ৫ হাজার ট্রে’তে বোরো ধানের বীজ উৎপাদন করা হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে বোরো বীজ রোপন করা ও অল্প খরচে অধিক ফসল উৎপাদন করে কৃষক যাতে লাভবান হয় এবিষয়ে কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল জানান। এভাবে জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেও চারা উৎপাদন ও রোপণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর