ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বেশি ফলন, নতুন সরিষায় আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের
কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লায় বেশি ফলনের কারণে নতুন সরিষায় আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। জেলার বুড়িচং উপজেলায় প্রথমবারের মতো ১০ হেক্টর জমিতে বারি সরিষা-১৮ চাষ হয়েছে। 

বারি সরিষা-১৮ বর্তমান সময়ে উচ্চ ফলনশীল সরিষা জাতগুলোর মধ্যে সর্বাধিক ফলন ও গুণগত মানসম্পন্ন তেল সমৃদ্ধ জাত বলে অভিমত কৃষি কর্মকর্তাদের। ক্যানোলা ধরণের এই জাতটির তেলে ক্ষতিকারক ইউরোসিক এসিডের পরিমাণ ০.৫ শতাংশেরও কম। যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক নয়।

মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বুড়িচংয়ের আবিদপুর, দেবপুর ও পাহাড়পুরের মাঠে এই সরিষা ফাগুনের বাতাসে দোল খাচ্ছে। বারি সরিষা-১৮ থেকে ভালো ফলন হবে বলে খুশি স্থানীয় কৃষকরা। দেবপুরের মো. আমিন মিয়া ও পাহাড়পুরের ওমর ফারুক বলেন, অন্য সরিষা বিঘায় ৬ মণ হতো। বারি সরিষা-১৮ এই জাতটির সর্বোচ্চ ফলন হতে পারে বিঘা প্রতি ৮-৮.৫ মণ। তাই এ জাতটি করেছি। কৃষি অফিস বীজ ও পরামর্শ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেছে।   বুড়িচং উপজেলার সদ্য সাবেক কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় বলেন, ‘৭২ কেজি বীজ সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, কুমিল্লা থেকে নিয়েছি। মৌসুমের শুরুতে জমি নির্বাচন করে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ বিতরণ করা হয়। মাঠ পর্যায়ের উপসহকারী কৃষি অফিসারদের তৎপরতায় পরিকল্পনাটির সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ফসল উঠতে শুরু করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আলাদা করে বারি সরিষা-১৮ তেল হিসাবে বাজারজাতকরণ এখনো শুরু হয়নি। কৃষকের সাথে যোগাযোগ করে এই সরিষা সংগ্রহ করা যেতে পারে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে উৎপাদনকারী কৃষকদের তথ্য পাওয়া যাবে। বর্তমানে সরিষা ভাঙানোর তেলের মিল অনেকটা সহজলভ্য। ২০ কেজি সরিষা ভাঙানো হলে ৭-৮ লিটার তেল পাওয়া যায়, যা একটি ছোট পরিবারের দেড় থেকে দুই মাসের তেলের চাহিদা মিটবে। যেহেতু কোন প্রিজারভেটিভস ব্যবহার করা হবে না সেহেতু অল্প অল্প করে ভাঙানো উত্তম। ভাঙানো আগে সরিষা ধুয়ে শুকিয়ে নিলে ভালো তেল পাওয়া যাবে।’

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর