ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আলু রপ্তানি করে রংপুরের কৃষকরা লাভবান হবেন আশা কৃষি অফিসের
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে চলতি মৌসুমে উৎপাদিত নতুন জাতের আলু রপ্তানি করে কৃষকরা লাভবান হবেন, সেই সাথে দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে হতে পারে। 

কৃষকরা যাতে বুঝতে পারে কোন ধরনের আলু উৎপাদন করে তারা বেশি ফলন পেতে পারেন এ লক্ষে গতকাল শনিবার এক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের রশিদপুরে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। 

মুজিববর্ষে বিএডিসি, কৃষির সেবায় দিবানিশি এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রংপুরে আলুর নতুন জাত সম্প্রসারণে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন ও মাল্টিলোকেশন ট্রায়াল এবং উৎপাদিত আলু রপ্তানি করতে রপ্তানিকারক, ডিলার ও কৃষকদের নিয়ে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলু ১ সানসাইন, সান্তনা, কুইনএ্যানি, এ্যালুইট, ক্যারোলাস, রশিদা, লেবেলা, ৭ ফোর ৭, এস্টারিক্স, ডায়মন্ট, বারি ৩৭, বারি ৪০, বারি ৪১, বারি ৪৭, বারি ৬২, বারি ৭৯, ডোনাটা, এডিসন, ফন্টেইন, এ্যালকেন্ডারসহ বিভিন্ন জাতের আলুর প্লট পরিদর্শন করা হয়। সেগুলোর মান যাচাই করে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।  

আলু বীজ রংপুরের উপপরিচালক আব্দুল হাই জানান, প্রতি মৌসুমে আমাদের দেশে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়ে থাকে। এর মধ্যে আমাদের দেশের চাহিদা থাকে ৮০ লাখ টন। অতিরিক্ত আলু অবিক্রিত থেকে যায়, চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই বাকি আলু যাতে অবিক্রিত না থাকে সেজন্য বিদেশে আলু রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাত করার জন্য আমরা কৃষকদের নতুন নতুন অনেক জাতের আলু উৎপাদনে পরামর্শ ও উৎসাহ দিচ্ছি। এসব জাতের আলু বেশি উৎপাদনশীল, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেশি, ফলন ভালো, বিভিন্ন রঙের, দেশে ও বিদেশে চাহিদা বেশি। 

রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা এবার বেশি পরিমাণ জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। কৃষি অফিসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫ শতাংশ বেশি জমিতে এবার আলুর আবাদ হয়েছে। রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় এবার ৯৩ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে আলুর আবাদ হয়েছে  ৯৭ হাজার ৩২৭ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি জমিতে এবার আলুর আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ লাখ মেট্রেক টন।

মাঠ দিবসে বিএডিসি রংপুরের জেলার উপপরিচালক (সবজি বীজ) নির্ম্মাল্য কুমার দাসের সভাপতিত্বে আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএডিসির যুগ্মপরিচালক আ ফ ম সাইফুল ইসলাম। 

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এনামুল হক, জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা খোরশেদ আলম, উপপরিচালক (বীজ বিপণন), রংপুর অঞ্চল, রংপুর মাসুদ সুলতান, উপপরিচালক (মান নিয়ন্ত্রণ) বিএডিসি, রংপুর আসাদুজ্জামান খান, উপপরিচালক (উদ্যান) বুড়িরহাট, রংপুর আবু সায়েম, উপপরিচালক (বীজ উৎপাদন) রংপুর সোহেল রানা, আঞ্চলিক বেতার কৃষি কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেনসহ বিএডিসি ও ডিএইর অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত



এই পাতার আরো খবর