ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ব্রি উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধান কর্তন, শতকে ফলন এক মণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাইস ফার্মিং সিস্টেম বিভাগের উদ্যোগে ব্রি উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধান ব্রি ধান ৮৯, ৯২ এবং বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ এর ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই তিন জাতের নতুন ধান চাষ করে কৃষকরা ভালো ফলন পেয়েছে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা। ৩৩ শতকে এইসব ধানের ফলন হয়েছেন ৩৩ মণ। অর্থাৎ শতকে এক মণ ধান পাওয়া গেছে।

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন) ড. মো: আব্দুল লতিফ। 

রাইস ফার্মিং সিস্টেম বিভাগের প্রধান ড. মো: ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, ব্রি বিজ্ঞানী সমিতির সভাপতি ড. আমিনা খাতুন ও কালীগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসলিম, ব্রির রাইস ফার্মিং সিস্টেম বিভাগের সিনিয়র বিজ্ঞানী ড. খায়রুল কায়েস, এবিএম জামিউল ইসলাম ও বীর জাহাঙ্গীর সিরাজী।  বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্রির পরিচালক প্রশাসন ড. মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত নতুন জাতগুলো ফলন আগের জনপ্রিয় জাত ব্রি ধান ২৮ ও ২৯ এর তুলনায় অনেক বেশি। এগুলো যদি ভালো পরিচর্যা করা যায় তাহলে আরো বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব। সুতরাং এখন পুরনো জাতগুলো বাদ দিয়ে নতুন জাতের ধান ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২ এবং বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ চাষ করতে হবে।

প্রধান অতিথি ব্রি মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীর বলেন, প্রতি বছর আমাদের জনসংখ্যার সাথে ২০-২২ লাখ লোক যোগ হচ্ছে। ১৭ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে খাবারের নিশ্চয়তা দিতে হলে অবশ্যই ব্রি উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধানগুলো চাষ করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। 

কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আগে বিদেশ ছিলাম, কৃষি কাজ করতাম না। কৃষি কাজ অলাভজনক ভাবতাম কিন্তু ব্রি ধান ৮৯ ও ব্রি ধান ৯২ এবং বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ আমার ধারণা বদলে দিয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর বিদেশ নয় আমি দেশেই কৃষি কাজ করবো। নতুন জাতের ধান চাষ করবো। কেননা কৃষি এখন আগের তুলনায় বেশি লাভজনক।’

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর