ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পরিত্যক্ত জমিতে বস্তায় বাদাম চাষ
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর
পরিত্যক্ত জমিতে বস্তায় বাদাম চাষ

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় বস্তায় বাদাম চাষ করে এক কৃষক সাড়া ফেলেছেন। উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত জমিতে ৫০০ বস্তায় বাদাম চাষ করেছেন। বাদামের পাশাপাশি শিম, বেগুন, ঢেঁড়স, করলা, মরিচ, পেঁপে, পানি কুমড়া, টমেটো, ডাঙ্গা বরবটির চাষ করছেন। তার চাষের পদ্ধতি দেখতে প্রতিদিনই আশপাশের লোকজন তার কাছে আসছেন পরামর্শ নিতে।

নিজপাড়া গ্রামের মৃত সাহেদ আলী ফকিরের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক আব্দুল মালেক বালাপাড়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি। নিজের আইডিয়াকে কাজে লাগিয়ে এবারই প্রথম বস্তায় বাদাম চাষ শুরু করেছেন তিনি। এ কাজে সহযোগিতা করেছেন তার পরিবারের লোকজন। প্রাথমিকভাবে ৬ শতক জমিতে মোট ৫ শত বস্তায় বাদাম ও ১০০ বস্তায় শিম, বেগুন, ঢেঁড়স, করলা, মরিচ, পেঁপে, পানি কুমড়া, টমেটো, ডাঙ্গা, বরবটির চাষ করেছেন।

এতে  তার মোট খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে তার বাদামের বয়স হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ দিন। আর সপ্তাহ দুয়েক পরে তিনি বাদাম ঘরে তুলতে পারবেন। তিনি বলেন, গত রমজান মাসে বস্তার দুটি করলা গাছে আধা মণের বেশি করলা হয়েছিল। ওই সব করলা নিজের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হয়েছে।

তিনি আশা করে বলেন, বাদামসহ অন্যান্য ফসলে তিনি প্রায় এক লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। প্রথম অবস্থায় অল্প পরিসরে চাষ করেছেন তিনি। এবছর লাভ ভালো হলে আগামীতে আরও বড় পরিসরে বাদাম চাষ করবেন। এটি দেখার পরে স্থানীয় অনেক যুবক পরামর্শ নিতে আসছেন এবং যুবকদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান, সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে একটি কৃষি পার্ক ও মানসম্মত জাতের সবজির বীজ উৎপাদন করবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন বলেন, বস্তায় সাধারণত কেউ বাদাম চাষ করেন না। তিনি নিজ উদ্যোগে বস্তায় বাদাম চাষ করেছেন। আমরা তার বস্তায় বাদামসহ অন্যান্য ফসলের চাষ পরিদর্শন করেছি। ফলন ভাল হয়েছে। তার দেখা দেখি বাণিজ্যিকভাবে অনেকে বাদাম চাষ করতে আগ্রহী হবেন।

আধুনিক চাষ পদ্ধতিতে বাদাম গাছে পানি ও কীটনাশক লাগে খুবই সীমিত। এভাবে বাদাম চাষ করতে চাইলে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শসহ কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে। বস্তায় বাদাম চাষ একটা ভালো প্রযুক্তি, এতে রোগ বালাই কম আক্রমণ করে, ফলনও ভালো হয়। যাদের জমি নেই, শুধু বাসস্থান আছে তারা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাভবান হতে পারবেন বলে জানান তিনি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর