ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ফাউমি মুরগি পালনে স্বাবলম্বী ঠাকুরগাঁওয়ের জিলানী
আব্দুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও
ফাউমি মুরগি পালনে স্বাবলম্বী ঠাকুরগাঁওয়ের জিলানী

শখের বসে মুরগি পালন শুরু করে আজ একজন সফল খামারি হিসেবে নিজের পরিচয় লাভ করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের আব্দুল কাদের জিলানী। নিজ এলাকার পাশাপাশি অন্য এলাকার অনেক খামারি আজ তার থেকে উন্নত জাতের মিশরীয় ফাউমি মুরগির বাঁচ্চা নিচ্ছেন। হচ্ছেন স্বাবলম্বী। আর জেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর বলছেন এমন উদ্যোক্তাদের দেওয়া হয় পরামর্শ।

জানা যায়, শখের বসে ২০১৯ সালে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ থেকে ১৫ হাজার টাকায় ৫০ পিস উন্নত জাতের মিশরীয় ফাউমি মুরগির বাঁচ্চা নিয়ে আসনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নের উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদের জিলানী। বাসার ভেতরে ১ লাখ টাকা খরচ করে তৈরি করেন দুটি মুরগির সেড। তবে মুরগি নিয়ে আসার তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ঠান্ডায় মারা যায় তার ২০টি মুরগি।

কিন্তু থেমে না গিয়ে প্রাণীসম্পদের পরামর্শ নিয়ে লালন পালন করেন বাকি ৩০টি মুরগি। মুরগি নিয়ে আসার সারে ৪ মাসের মাথায় ডিম দেওয়া শুরু করে। পরে ইনকিউবেটর মেশিনের মাধ্যমে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটান তিনি। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তার খামারে মুরগির সংখ্যা। বর্তমানে তিনি নিজ এলাকায় একজন সফল মুরগির খামারি হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন। তার খামার দেখে আগ্রহী হচ্ছেন অন্যরা।

তার এই খামারে বর্তমানে ৭০০-এর মতো মুরগি আছে। প্রতি মাসে ইনকিউবেটর মেশিনের মাধ্যমে ডিম থেকে ১০০ থেকে ১৫০টি মুরগির বাচ্চা ফোটানো হয়। এখন পর্যন্ত তিনি এই খামার থেকে ৩ লাখ টাকার মতো মুরগি বিক্রি করেছেন। বাচ্চা ফুটানোর ৩০ দিন বয়সে মুরগিগুলো বিক্রির উপযুক্ত করে প্রত্যেক পিস মুরগি বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। যার মূল্য রাখা হয় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।

জিলানীর খামার থেকে অনেকে মুরগির বাচ্চা ক্রয় করে হচ্ছেন সফল খামারি। আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই। অপরদিকে নিজ এলাকার আগ্রহী খামারিদের সকল প্রকার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন আব্দুল খাদের জিলানী।

মুরগি পালনের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব বলে মনে করেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. রোকনুজ্জামান।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর