ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

শখের বাগানে বাহারি আম
দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

গাছে গাছে ঝুলছে বাহারি আম। আমের ভারে নুয়ে আছে ডাল। বাতাসে পাকা আমের মিষ্টি সুভাস। কোনো গাছে ঝুলছে গোলাকৃতির আম। কোনোটিতে লম্বা আকৃতির। আর কোনোটি একেবারে গোলাকার। বিভিন্ন জাতের আমে  রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন রং। কাঁচা-পাকা লাল, হলুদ আর সবুজ রঙের আমে দৃষ্টিনন্দন হয়ে আছে বাগান। বাহারি এই আম বাগানের দেখা মেলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার উত্তর-উত্তরসুর গ্রামে।

শহরের লন্ডন প্রবাসী কাজী আয়শা মনি শখের বসে এই বাগান গড়ে তোলেন। দেশি-বিদেশি আম ছাড়াও বাগানে রোপণ করেছে বিভিন্ন ফল গাছ। সাথী ফসল হিসেবে বপন করেন উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন সবজির বীজ। তবে শখের এই বাগান এখন সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছে। স্বপ্ন দেখাচ্ছে সচ্ছলতার। দুই বছর আগে কাজী অ্যান্ড আজাদ এগ্রো ফার্ম নামে এই ফলের বাগান করা হয়।

বাগানে গিয়ে দেখা যায়, গাছে গাছে ঝুলছে বিদেশি জাতের আম ব্যানানা ম্যাংগো, ডকমাই, কিংআফ চাকাপাত, কিউজার আম। রয়েছে দেশি জাতের বরি ১১, বারি ৪, লেংরা, হাঁড়িভাঙা ও আম্রপালি জাতের আম। ছোট ছোট গাছের ডালগুলো নুয়ে আছে আমের ভারে। কোনো গাছের আম পেকে হলুদ হয়ে আছে। কোনোটি পাকা শুরু হয়েছে। বাগানের নেই কোনো সার বা কীটনাশকের ব্যব্হার। সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে এখানে ফল চাষ করা হয়। বাগানে রয়েছে ১ হাজারের উপরে আম গাছ। প্রথম বছরে ফলন হয়েছে ২৮০ কেজি। বাগানে ১ কেয়ার জমিতে রয়েছে মাছের ফিসারি। গরুর খামার।

বিভিন্ন প্রজাতির আমসহ এই বাগানে রয়েছে ২৬ প্রজাতির ৪ হাজার ৫০০টি বিদেশি ফলের গাছ। এর মধ্যে সাউথ আফ্রিকান হলুদ মালটা, থাই বার মাসি মালটা, থাই কাডিমুন বারমাসি, রেড আইবেরি, ইন্ডিয়ান আলপানস, অ্যামেরিকান পালমার, অগ্নিশর কলা, চাইনিজ কমলা, থাই জামবুরা, দার্জিলিং কমলা, চায়না আম কিংআফ চাকাপাত, থাইল্যান্ডের আলফানসো আম, বুম্বাই লিচু, চায়না ৩ লিচু, চায়না টক কুল, বল সুন্দরি কুল, চফেদা, আনার, একোকেডু, থাই পিংক কাটাল, থাই বারমাসি কাটাল, থাই লংগান, রামভুটান, জি নাইন কলা, মিষ্টি তেঁতুল, ব্যানানা ম্যাংগো ও ভিয়েতনামের খাটো নারিকেল। এছাড়া রয়েছে মালটা, আম, পেঁপে ও পেয়ারাসহ দেশীয় ৪০ প্রজাতির ৪৫০টি ফলের গাছ।

কাজী আয়শা মনি বলেন, আমের ফলন দেখে আমার খুব ভাল লেগেছে। বিদেশে কষ্টে উপার্জন করা টাকা দেশের মাটিতে বিনিয়োগ করলে ক্ষতি নেই। আমার এই বাগান একটি বড় উদাহরণ। আমি প্রত্যাশা করি, যেন অন্য প্রবাসীরাও দেশে বিনিয়োগ করেন। এতে মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির লাভ হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর