ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সরকারি সংরক্ষণাগারে আম রেখে মাথায় হাত চাষির
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সরকারি সংরক্ষণাগারে আম রেখে বিপাকে পড়েছেন আম উদ্যোক্তা ও আমচাষি আহসান হাবিব। ৩ টন ল্যাংড়া ও খিরসাপাত আম রেখে প্রায় ৩০ শতাংশর বেশি আম পঁচে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তিনি আড়াই লাখ টাকা লোকশানের মুখে পড়েছেন। 

জানা গেছে, শিবগঞ্জ পৌর এলাকার একাডেমি মোড়ে অবস্থিত আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের সংরক্ষণাগারে গত ১৪ জুন সংরক্ষণের জন্য প্রায় ৩ টন আম রেখেছিলেন আহসান হাবিব। কিন্তু কয়েকদিন পরেই পঁচতে থাকে আম। এতে আহসান হাবিব ক্রেতা না পেয়ে অল্প দামে আমগুলো বিক্রি করতে বাধ্য হন। 

এই প্রসঙ্গে আহসান হাবিব বলেন, আমার বাগানে প্রায় ৩ টন ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদপ্রাপ্ত খিরসাপাত ও ল্যাংড়া আম ছিল। কিন্তু একদিন একাডেমি মোড়ের সরকারি সংরক্ষণাগারের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে জানান তাদের ওখানে কাঁচা আম ৯০ দিন পর্যন্ত রাখা যায় এবং পরে বের করে কাঁচা আমই বিক্রি করা যায়। আমি তার কথায় ঈদের পর আমগুলো বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে এমন আশায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে তাদের পরামর্শে প্রায় ৩ টন ল্যংড়া ও খিরসাপাত আম সেই সংরক্ষণাগারে সংরক্ষণের জন্য রাখি। পরে গত ২৫ জুন সংরক্ষণাগারে গিয়ে দেখি আমার আমগুলোতে পচন ধরেছে। এমন চিত্র দেখে আমি দিশেহারা হয়ে ক্রেতা খুঁজতে থাকলেও এই আম কেউ কিনে নিতে চাইছিলনা। পরে আমার পরিচিত এক আড়তদারের হাতে পায়ে ধরে আমগুলো দিয়েছি। তবে কত করে দাম দিবে তা এখনো জানাইনি, এমনকি টাকাও দেয়নি। এতে আমার প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

আম চাষি আহসান হাবিব আরও বলেন, আমগুলো যখন গাছ থেকে নামাই তখনই ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা মণ দরে আমগুলো বিক্রি করা যেতো। কিন্তু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সরকারি সংরক্ষণাগারে রেখে আমি লোকশানের মুখে পড়লাম। 

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, আম চাষি আহসান হাবিবের আম পঁচে যাওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজেদের দায় এড়াতে কাঁচা ফজলী আম কিনে ওখানে রেখেছেন। 

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, আহসান হাবিবের আমগুলো বেশি পরিপক্ক ছিল, আমরা বুঝতে পারিনি। মূলত এজন্যই আমগুলো পেটে গেছে। তবে সেখানে এখন আমাদের ফজলি জাতের আম রাখা আছে সেগুলো তো পাকছেনা। 

এ ব্যাপারে আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এস এম হাসানুজ্জামান বলেন, এ বিষয়টি আমি অবগত না। আর শিবগঞ্জের সংরক্ষণাগারটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। তবে আমরা সেই আম চাষিকে অন্য প্রকল্পের মাধ্যমে সহযোগিতা করবো। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর