ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নেত্রকোনায় কীটনাশক ছিটিয়ে বীজতলা নষ্ট করার অভিযোগ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

পূর্ব শত্রুতার জেরে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় এক কৃষকের ক্ষেতে অতিরিক্ত আগাছানাশক ও কীটনাশক ছিটিয়ে ১ একরের বেশি জমির বীজতলা নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক আশরাফুল আলম পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে কলমাকান্দা থানায় আভিযোগ দিয়েছেন। 

ঘটনাটি উপজেলার লেঙ্গুরা ইউনিয়নের দক্ষিণ গোড়াগাও গ্রামে গত বুধবার ঘটলেও বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়েরের পর শুক্রবার তথ্যটি প্রকাশ হয়েছে। 

অভিযুক্তরা হলেন, লেংগুরা ইউনিয়নের দক্ষিণ গোড়াগাও এলাকার মো. খোরশেদ আলম (৫৮), মো. নুরুল ইসলাম (৪৩), রাসেল মিয়া(২৬), উত্তর গোড়াগাও গ্রামের অমিত হোসেন (২২), ছাব্বির হোসেন (২৫)।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার লেংগুরা ইউনিয়নের দক্ষিণ গোড়াগাঁও মাঠের ১ একর .৬০ শতক জমিতে ভুক্তভোগী কৃষক আশ্রাফুল আলম ১০ মণের বেশি ধানের বীজ বপন করেছিলেন। এই জমির বীজতলা দিয়ে ৩০ একর জমিতে ধান রোপণের লক্ষ্য ছিল তার। ২০ থেকে ২৫ দিন পর বীজতলার চারাগুলো জমিতে রোপণের উপযুক্ত হয়ে উঠত। এ অবস্থায় গত বুধবার সকালে দক্ষিণ গোড়াগাঁও গ্রামের খোরশেদ আলম ও তার লোকজন তার বীজতলায় অতিরিক্ত পরিমাণ আগাছানাশক ও কীটনাশক প্রয়োগ করে চারাগাছগুলো ঝলসে দেন। খোরশেদ আলমের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলার মালিক আশ্রাফুল আলমের জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও আছে। 

অভিযুক্ত খোরশেদ আলম ও মো. নূরুল ইসলামের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় ঘটনার বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বীজতলায় অতিরিক্ত আগাছানাশক ও কীটনাশক প্রয়োগ কারায় চারাগুলো নষ্ট হয়েছে।

তবে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। আগাছানাশক ছিটিয়ে বীজতলা নষ্টের প্রমাণ পেলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর