ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

রপ্তানির অপেক্ষায় দিনাজপুরের গৌরমতি আম
রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

দিনাজপুরের লিচুর পর এবার রপ্তানির অপেক্ষায় গেরৈমতি আম। রপ্তানির লক্ষ্যে ২৫ হাজার গৌরমতি আম পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে ব্যাগিং পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে। নতুন জাতের গৌরমতি আম পাকার সময় ১৫ আগষ্ট হতে ২০ সেপ্টম্বর পর্যন্ত। ইতোমধ্যে দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলা হতে বিদেশে আম রপ্তানি শুরু হয়েছে এবং বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে আম রপ্তানির জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।

এবার আমের বাম্পার ফলন হয়েছে দিনাজপুরে। ব্যাপক ফলনের কারণে আমের চাহিদা নিয়ে বিপাকে পড়েছে অনেক বাগান মালিক ব্যবসায়ী। দেশের বাজারের চেয়ে ভালো দামের আশায় বিদেশে রপ্তানির চেষ্টায় রয়েছেন আমবাগান মালিকরা। তাই বিদেশে রপ্তানির অপেক্ষায় দিনাজপুরের নতুন জাতের গৌরমতি আম। 

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বীরগঞ্জের আবাদি জমির পরিমান ৩২ হাজার ৮শত ৯৬ হেক্টর। এর মধ্যে আম বাগান রয়েছে ৩১২ হেক্টর জমিতে। বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যে ২৫ হাজার গৌরমতি আম পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে ব্যাগিং করা হয়েছে। সেখানে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার বা বিষ ব্যবহার করা হয়নি। প্রতিটি আমের ওজন ৩ শত গ্রাম হতে ৫ শত পর্যন্ত হয়ে থাকে।

আম বাগান মালিক মরিচা ইউপির ডাবরা জিনেশ্বরী গ্রামের মো. গোলাম মোস্তফা জানান, ২০১৭ সালে৭৫ শত জমিতে ১৫০টি গৌরমতি আম গাছের চারা রোপন করেন। ২০২২ সালে গাছে ব্যাপক হারে ফলন শুরু হয়। তবে এবছর বাগানে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে বিদেশে রপ্তানির উদ্দেশে ২৫ হাজার আম ব্যাগিং পদ্ধতিতে পরিচর্যা করে বিক্রয়যোগ্য করে তোলা হয়েছে। এখনও গাছেই ঝুলে রয়েছে প্রায় ২০০ মণ আম। দ্রুত যদি রপ্তানি কিংবা বাজারজাত না করা হয়, তাহলে গাছেই পচে যেতে পারে আম। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

একই কথা জানিয়ে আম বাগান মালিক আলহাজ্ব মোকারম হোসেন পলাশ জানান, সরকারিভাবে দ্রুত আম রপ্তানির বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা না হয় তাহলে আমের পরিচর্চা করতে যে ব্যয় হয়েছে এখন আম যদি না বিক্রয় হয় তাহলে আম বাগান মালিকদের পথে নামতে হবে। এখন কৃষি বিভাগ আম রপ্তানি অথবা বিক্রয়ের জন্য দেশে কিংবা বিদেশে যোগযোগ করেন তাহলে আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা তাদের পুজি ফেরত পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বীরগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ আকন্দ জানান, বিদেশে রপ্তানির লক্ষে ২৫ হাজার গৌরমতি আম পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে ব্যাগিং করা হয়েছে। গৌরমতি আমের জাতটি দেরিতে পাকা শুরু করে। ফলে বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় বেশ মূল্য পাওয়া যায়। সেখানে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার বা বিষ ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু এ বছরে আমের বাম্পার ফলনের কারণে দেশে বিদেশে আমের চাহিদা কম থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো গ্রাহক মেলেনি। তবে কৃষি বিভাগ আম রপ্তানি ও স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।  

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর