ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আখ চাষে বাম্পার ফলন, ব্যাপক লাভবান কৃষক
রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

অনুকূল আবহাওয়া, রোগ-বালাই কম ও সঠিক পরিচর্যার কারণে আশানুরুপ আখ উৎপাদন হওয়ায় খুশি দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের কৃষকরা। এখানকার উৎপাদিত আখ খেতে সুস্বাদু ও মিষ্টি। উঁচু জমি, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকায় আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চিরিরবন্দর উপজেলায় ঈশ্বরদী গেন্ডারি জাতের আখের ফলনও ভালো হয়েছে। স্বল্প খরচ, অধিক লাভজনক ও নগদ অর্থে বিক্রি হওয়ায় উপজেলায় আখ চাষের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এবার বেশি লাভজনক হওয়ায় আখচাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। বাজারে চাহিদা থাকায় এবং ভালো মূল্য পাওয়ায় আখ চাষিরাও সন্তুষ্ট। 

কৃষি বিভাগ জানায়, আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের উপর এবং আখের আশানুরুপ ফলন এবং বাজারে চাহিদা থাকায় কৃষকদের মধ্যে আখচাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে আখের চাহিদা রয়েছে। চাহিদা থাকায় কৃষকরা ক্ষেতেই ভালো দাম পাচ্ছেন। বছরের তিনমাস বাজারে এসব আখ বেচাকেনা করে লাভবান হয় কৃষকসহ খুচরা-পাইকারি বিক্রেতারা। খুচরা বাজারে আকার ও সাইজভেদে প্রতিটি আখ ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিবিঘা জমিতে আখ উৎপাদনে ৪০-৫০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। উৎপাদিত আখ বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে ২ লাখ টাকায়।

চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউপির দক্ষিণ নশরতপুর গ্রামের জগদিশ মেম্বারপাড়ার আখচাষি হিরেন্দ্র নাথ রায় (৫৫) জানান, আখ একটি লাভজনক ফসল। এবার রোগ-বালাই কম, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে আখের প্রচুর চাহিদাও রয়েছে। এ বছর ২১শতক জমিতে আখচাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। প্রতিটি আখ ১২-১৫ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করেছি। এ পর্যন্ত ২০ হাজার টাকার আখ বিক্রি করেছি। আমার এ জমি থেকে আরো কমপক্ষে ৩০-৩৫ হাজার টাকার আখ বিক্রি করতে পারবো। 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. খাদেমুল ইসলাম বলেন, আখ একটি অর্থকরী ফসল। যা শর্করা উৎপাদনের ৭৫শতাংশ জোগান দেয়। পাশাপাশি এটি গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা জানান, অনেক কৃষক বেশি লাভের আশায় গেন্ডারি জাতের আখ চাষ করেছেন। আখ চাষে তেমন একটা সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। অল্প পরিশ্রম ও খরচে আখ চাষে লাভবান হওয়া যায়। এছাড়াও আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে অন্যান্য ফসলও চাষ করা যায়।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন



এই পাতার আরো খবর