ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সবজি চাষের গ্রাম ‘উলিপুর’
রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর
দিনাজপুরের নদী বিধৌত পলিমাটির গ্রাম বলে পরিচিত উলিপুর গ্রাম। উর্বরা মাটির এই গ্রামে বছরের সব সময় কোন না কোন সবজি চাষ হচ্ছেই। এখানে ফলনও ভাল। এখন গ্রামের ফসলের মাঠ সবুজ সবজির খেতে ভরা। এই গ্রামের প্রায়ই সবাই কমবেশি চাষ করেন।    কৃষিনির্ভর এই গ্রামের বিস্তীর্ণ খেতের পাশ দিয়ে হেটে গেলে দেখা যাবে চালকুমড়া, পটল, শসা, বেগুন, শিম, বরবটি, মুলা, আলু, পিয়াজ, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, পানিকুমড়া ইত্যাদি। যা বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে। দিনাজপুর শহরের কাছাকাছি উলিপুর গ্রামটি হওয়ায় এর উৎপাদিত সবজি অল্প সময়ে শহরের বড় বাজারগুলোতে পৌঁছে যায়। এতে ভালো দামও পায় কৃষক। এখন প্রতিদিন কাক ডাকা ভোরে বিভিন্ন মাধ্যমে এই গ্রামের সবজি নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যাবে।  দিনাজপুর সদরের আউলিয়াপুর ইউনিয়নে এই সবজি উৎপাদনের উলিপুর গ্রামটি শহরের সবজি চাহিদার শতকরা ২৫ ভাগ পূরণ করে এমনটাই বললেন দিনাজপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান।    দিনাজপুর সদর উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, পরিবেশ বান্ধব নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় চলতিবছর বিভিন্ন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। উলিপুর গ্রামের ১৫০ হেক্টরে শিম, বরবটি, কপি, স্কোয়াসসহ বিভিন্ন সবজি চাষ হয় এবং ৩৫০ হেক্টরে আলু চাষ হচ্ছে। ৮০০ থেকে ১০০০ কৃষক এই এলাকায় সবজি চাষ করেন। এতে কৃষকদের সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।   উলিপুর গ্রামের সবজি চাষী শফিকুল ইসলাম, মোস্তাফা কামালসহ কয়েকজন বলেন, আমাদের গ্রামের সবাই নিরাপদ সবজি চাষ করছি। গ্রামের পাশ দিয়ে বহমান পূনর্ভবা নদীর পলি দ্বারা গঠিত মাটি হওয়ায় এই এলাকায় সবজি উৎপাদন খুব ভালো হয়। ওই গ্রামের সচেতন নাগরিক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, এই গ্রামের রাস্তায় সকাল বেলায় দেখা যায় কি পরিমাণে কৃষক বিভিন্ন সবজি নিয়ে যাচ্ছে শহরের বাজারগুলোতে। শহরের মানুষের সবজি চাহিদার এক চতুর্থাংশ পূরণ করে এখনকার চাষীরা। তবে কৃষি বিভাগ আরেকটু দৃষ্টি দিলে সবজির উৎপাদনের পরিমাণ আরও বেশি হবে বলে মনে করি।     দিনাজপুর সদরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, দিনাজপুর সদরের আউলিয়াপুর ইউপির উলিপুর, উথরাইল ইউপির আশ্রয়ণ এলাকা ও আস্করপুর ইউয়িনের আশ্রয়ণ এলাকায় বেশি সবজি চাষ হয়ে থাকে। আর উলিপুরকে একটি আদর্শ সবজি গ্রামে পরিণত করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। নিরাপদ সবজি চাষ করতে কৃষকদের সংগঠিত করে জৈবিক পদ্ধতি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসম্মত সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়। বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে এবং ক্রেতারাও নিরাপদ সবজি পাচ্ছে।   বিডি প্রতিদিন/এএ


এই পাতার আরো খবর