ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বগুড়ায় পানিফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
বগুড়ায় পুকুরে পানিফল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। ছবি : বগুড়ার সাবগ্রাম এলাকা থেকে তোলা

অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে লাভজনক হওয়ায় বগুড়ায় পানিফল চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের। জেলার বিভিন্ন এলাকায় পতিত খাল-বিল ও জলাশয় জুড়ে পানিফলের চাষ হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার বেড়েছে চাষের জমি। ইতিমধ্যেই পানিফল উত্তোলন করছে চাষিরা, হাটে বাজারে বেচাকেনাও বেশ ভালো। কম খরচে ভালো ফলনে ভালো দাম পেয়ে কৃষক খুশি।

নিচু জমি এবং বিল-জলাশয়ে মৌসুমি ফসল হিসেবে পানিফল চাষ হয়। পানিতে ভরপুর ও প্রচুর খনিজ উপাদান পানিফলে। আষাঢ় মাস থেকে ভাদ্র-আশ্বিন মাস পর্যন্ত চারা লাগানো যায়। চারা লাগানোর ২ থেকে আড়াই মাস পর ফল পরিপক্ক হয়। প্রতি গাছ থেকে ৩/৪ বার ফল তোলে চাষিরা, পৌষ মাস বা ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া যায়। এ ফলের কোনো বীজ নেই, মৌসুম শেষে পরিপক্ক ফল থেকে আবারো চারা গজায়, সে চারা পরে জলাশয়ে লাগানো হয়। শহর গ্রামে সব খানেই এ ফলের চাহিদা রয়েছে। সেদ্ধ করেও এ ফল খাওয়া যায়। বাজারে কাঁচা ও সেদ্ধ ফল বিক্রি হয়। বগুড়া শহরের চেলোপাড়া চাষিবাজারে প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বেচাকেনা হয়। প্রতি মণ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে।

স্বল্প খরচে লাভবান হওয়ায় পানিফল চাষ করছেন বলে জানান চাষিরা। বগুড়ার উৎপাদিত ফল জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

পতিত এলাকায় চাষাবাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবে না, সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সহায়ক হবে বলে জানান বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মতলুবর রহমান।

তিনি জানান, এবার জেলায় ৩৭ হেক্টর জমি থেকে প্রায় ১১০০ টন ফল উৎপাদন হবে। গাবতলী, শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় পানিফল চাষ হয়।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর