ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

অসময়েও গাছে গাছে ঝুলছে কাঁচা-পাকা আম
দিনাজপুর প্রতিনিধি
অসময়েও গাছে গাছে ঝুলছে কাঁচা-পাকা আম

শীতের ভরা মৌসুমেও দিনাজপুরে অসময়ে গাছে গাছে ঝুলছে কাচাঁ-পাকা আম। বাগানে প্রবেশের পর  হলুদ বর্ণের পাকা সুস্বাদু আম দেখে সকলের মন জুড়িয়ে যাবে। একই গাছের এক ডালে আম, অন্য ডালে আমের গুটি, নয়তো মুকুল। আমের আকার, রং হয়েছে মনকাড়া লোভনীয়। আর অসময়ে বাজারে আমের দামও বেশি। অল্প বিনিয়োগে অধিক লাভবানের সুযোগ। অসময়ে পাকা আম দেখতে পেয়ে অনেকেই আমের সাথে সেলফি তুলছেন, কেউবা আম কিনে নিয়ে আমের স্বাদ গ্রহণ করছেন।

বাণিজ্যিকভাবে এই আমের বাগান করে চমক সৃষ্টির পাশাপাশি ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের ইশানিয়া ইউপির মহবতপুর গ্রামের সেতাবগঞ্জ মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুকমল রায়।

অসময়ের এই ‘কাটিমন’ জাতের বারোমাসি আমের বাগান করে বাজিমাত করে সবার কাছে অনুকরণীয় হয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও চাকাপাতা, আলফার নো, মিয়াজাকি, চিয়াংমাই, রেড পানসার, বেনানা ম্যাংগোসহ বিভিন্ন জাতের আম গাছ রয়েছে। ৩০০ টাকা কেজি দরে এ পর্যন্ত তিনি ২০ থেকে ২৫ মণ আম বিক্রি করেছেন। তার নিজস্ব জমিতে প্রায় ৬ শতাধিক গাছে এই ‘কাটিমন’ জাতের আম ধরেছে। কাটিমন আম বছরে ২ বার আবার কখনো তিনবার ফলন দিতে পারে। এ জাতের আম চাষ করলে অবশ্যই লাভবান হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

সহকারী অধ্যাপক সুকমল রায় জানান, ইতিমধ্যে তিনি স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩০০ টাকা কেজি দরে বাগানের আম বিক্রি করছেন।

তিনি জানান, এটা ব্যতিক্রম, আমার বাগানের অধিকাংশ আম গাছ বছরে তিনবার ফলন দিয়ে থাকে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে যখন গাছে কোনো ফল থাকে না, তখন আমার এই বাগানে পাকা টসটসে আম দেখতে অনেকেই ভিড় করছে। আশা করছি বাগানটিকে আরও প্রসারিত করে দেশের প্রতিটি ঘরে অসময়ের আম হাতে তুলে দিতে পারব।

এ পর্যন্ত তিনি ২০ থেকে ২৫ মণ আম বিক্রি করেছেন। এখনো গাছে কিছু আম দৃশ্যমান আছে, আবার কিছু গাছে নতুন করে মুকুল আসছে। আমের স্বাদ নিতে এখন আর বছর অপেক্ষা করতে হয় না। ইচ্ছে করলেই বছরে তিনবার আম খাওয়া যায়।

বোচাগঞ্জ কৃষি অফিস জানায়, কাটিমন জাতের আমের চারা রোপণের দুই বছরেই ফলন পাওয়া যায়। রোপণ করা এসব আম গাছে বছরে তিন বার আম ধরে। গাছে কখনো মুকুল, কখনো আমের গুটি আর কখনো বড় আম দেখা যায়। নিয়মিত পরিচর্যা, পানি, সার, বালাইনাশকসহ সার্বক্ষণিক যত্ন নিতে হয় প্রতিটি গাছের। প্রতিটি থোকায় ১৫-২০টি আম হয়। প্রতিটি আমের ওজন প্রায় ৩০০ গ্রাম। এ জাতের আমে আঁশের পরিমাণ খুব কম। খেতেও সুস্বাদু। বারোমাসি হওয়ায় পুরো বছরই আম বিক্রি করা যায়। আবার অসময়ে আম বাজারজাত করায় দামও বেশি পাওয়ায় বাগানিরা লাভবান হয়। আর এসব আম চাষে কৃষি বিভাগ সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর