ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরে শীতে কাঁপছে মানুষ, তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি
দিনাজপুর প্রতিনিধি
ফাইল ছবি

উত্তরের জেলা দিনাজপুরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে মাঘের হাড় কাঁপানো শীতের দাপটে কাহিল মানুষ। তবে দুপুরে সূর্যের দেখা মেলায় কিছুটা জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। এর আগে টানা কয়েকদিন ঘন কুয়াশার পর্দা ভেদ করে সূর্যের দেখা মেলেনি।

শনিবার দুপুরে দিনাজপুরে দেখা দিয়েছে সূর্য। তাপমাত্রা বেশি না কমলেও সূর্যের আলোয় উষ্ণতার পরশ পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পায় সাধারণ মানুষ। কর্মজীবীদের কাজে যেতে বেগ পেতে হয়েছে কম। হাটবাজার ও গ্রামগুলোতে ফিরে এসেছে কর্মব্যস্ততা। সেই সঙ্গে গৃহিণীরা কাপড় ধোঁয়া ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরেই উত্তরাঞ্চলের জেলাটিতে চলছে শীতের দাপট। শীতের সকালে ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কুয়াশা বেশি হওয়ায় সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। এতে দূরপাল্লার পরিবহন চলছে ধীর গতিতে। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না, যাদের পাওয়া যাচ্ছে তাদের দিতে হচ্ছে বেশি টাকা।

শশরার কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, শীত বেশি হওয়ায় বোরো ধানের বীজতলাগুলো হলুদ ও লালচে হয়েছে। যে হারে কুয়াশা হচ্ছে, তাতে বীজতলা নিয়ে চিন্তায় আছি।

দিনাজপুর সদরের শঙ্করপুর গ্রামের ফসলের মাঠে গৌতম দাস বলেন, ‘বেজায় (খুবই) জার (শীত), এই জারত কাম করিতে হাত-পাও গেলা থোপসা হই আইসেছে। কি করিমো-কাম না করিলে হামার ভাতও হয় না। আর এই জারত কাম করিতেও বেজায় কষ্ট হচে। খালি হাতে হিমশীতল মাটি নিয়ে কাজ করতে গোটা শরীর থর থর করে কাঁপছিল তার।’

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, শনিবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৫ ভাগ। বাতাসের গতি ০১ নটস।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর