ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে বার্লি চাষের জন্য প্রায়োগিক গবেষণা
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠিসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জেলাগুলোতে গমের বিকল্প হিসেবে বার্লি চাষের জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় অবিস্থত বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বাপার্ড)। এ বিষয়ে বাপার্ড নানা ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে বাপার্ড তাদের একাডেমির কৃষি প্লটে পরীক্ষামূলক ভাবে বার্লি চাষের উপর  প্রায়োগিক গবেষণা শুরু করেছে। 

বাপার্ডের যুগ্ম পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ তোজাম্মেদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত বারি বার্লি-৫, বারি বার্লি-৬, বারি বার্লি-৭, বারি বার্লি-৮ ও বারি বার্লি-৯ এই ৫টি জাতের বার্লি আরসিবিডি পদ্ধতিতে ছোট আকারে ২০টি প্লটে বিভিন্ন ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ট্রায়াল দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে এই ট্রায়ালে আমরা সফল হয়েছি। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে কোন জাতটিতে পোকা মাকড় রোগ ব্যধি কম এবং ফলন বেশি হয় আমরা সে জাতটি বেছে নিবো। এই জাতটিকে চাষাবাদের জন্য আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করবো। 

তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে আমাদের কৃষিকে খাপ খাইয়ে নিতে প্রচলিত কৃষি থেকে কৃষকদের নিরর্ভতা কমিয়ে বিকল্প ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে এ অঞ্চলের কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে।  বাপার্ডের পরিচালক (কৃষি) মোঃ মাহমুদুন্নবী বলেন, বার্লি কিছুটা লবনাক্ত সহনশীল ফসল। রবি মৌসুমে বার্লির চাষ করা হয়। বৈশি^ক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শীতকাল কম স্থায়ী হয়। এই শীতকালে অন্যান্য ফসল কম হলেও বার্লির চাষ ভালো হয়। দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের বার্লির চাষ বাড়ানো সম্ভব হলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি এ অঞ্চলে বার্লি নির্ভর অনেক শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠবে।   উপজেলা কৃষি অফিসার দোলন চন্দ্র রায় বলেন,  আমাদের দক্ষিণ অঞ্চলের জলবায়ু ও মাটি বার্লি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কারণ বার্লি রবি মৌসুমের ফসল। এই বার্লি অনুর্ভর জমিতেও চাষ করা যায়। বার্লি লবনাক্ততা সহনশীল একটি ফসল। এই ফসল যত্নেই ফলে।  ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যেই চাষিরা বার্লি ঘরে তুলতে পারে। এটি চাষাবাদে খরচও কম। তাই বার্লি চাষে কৃষকদের এগিয়ে আসা উচিত।   বাপার্ডের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহা. বোরহানুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষির উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিঁনি কৃষিবিদ ও কৃষি বিজ্ঞানীদের বিলুপ্ত প্রজাতির ফসলগুলো গবেষণার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ পালনে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে বার্লি চাষের জন্য আমরা প্রায়োগিক গবেষণা শুরু করেছি। ইতোমধ্যে আমরা অনেকটাই সফলও হয়েছি। আমরা আমাদের সফলতা কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিবো।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর