ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

শীতে ক্ষতিগ্রস্ত নেত্রকোনার কৃষকরা
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

কয়েক দফায় গেল শৈত্য প্রবাহে এবার নেত্রকোনায় সবজি আবাদে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কুয়াশার কারণে টমেটো এবং আলু চাষ করে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছন অনেকে। অনেকের আংশিক ক্ষতি হলেও কারোরটা পুরো নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি কৃষকের।

জানা গেছে, নেত্রকোনার নাগড়া শেখ পাড়া এলাকার বাসিন্দা শামছুল হকের মাস্টার্স পড়ুয়া ছেলে আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) চাকরি না পেয়ে বেকার দিন কাটছিলো। অবশেষে গত দু'বছর আগে সিদ্ধান্ত নেন কৃষি কাজ করবেন নিজেদের থাকা পতিত জমিতে। প্রথমে শস্য আবাদ শুরু করেন প্রায় ১২ কাঠা অর্থাৎ ১২০শ' শতাংশ জমিতে। পরে সেটি বাড়াতে থাকেন। বেগুন, আলু, টমেটো, কাঁচা মরিচ, মিষ্টি কুমড়া, পালংশাক, লতি কচু, ওল কচু, ডাটা কচুসহবিভিন্ন প্রজাতির সবজি আবাদ শুরু করেন পুরোদস্তর।

কিন্তু গত বছর পানিতে টমেটো আলু কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হলে এবার আগে ভাগেই চাষ শুরু করেন। তারপরও তীব্র শীতে এবছর টমেটো এবং আলু একেবারের নষ্ট হয়ে পড়েছে। এতে করে তিনি ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই নিজেদের পতিত জমিতে এসব রবিশস্য আবাদ শুরু করেন। তারাও এবছর টমোটো আর আলুতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তবে মাসুমসহ অন্যরা জানান, কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ দিয়ে স্প্রে করার পরও কোন লাভ হয়নি। 

জেলার কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক (খামারবাড়ি) কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষকদেরকে পরামর্শসহ বালাই নাশক দেয়া এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছেন। তিনি বলেন, এবছর ৭ হাজার ৪ শত ৩৪ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে। জেলার সদর, পূর্বধলা, বারহাট্টা, কেন্দুয়া, দুর্গাপুর, কলমাকান্দায় এসকল সবজি চাষ বেশি হয় বলেও তিনি জানান। শীতকালে রোগের কারণে যাতে সবজি নষ্ট না হয় সেজন্য কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় ছত্রাক নাশক ব্যবহার করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে মালচিং পদ্ধতিসহ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য উন্নত প্রশিক্ষণের সাথে সাথে মাঠ পর্যায়ে উপ সহকারী প্রকৌশলীরা কাজ করছেন বলেও জানান। 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর