ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় রসুন ও হলুদ চাষে শঙ্কা নেই
দিনাজপুর প্রতিনিধি

তীব্র ঠাণ্ডা ও টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে সাদা সোনাখ্যাত রসুন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন দিনাজপুরের রসুন চাষিরা। তবে কয়েকদিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় আশানুরূপ ফলন ও ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছেন চাষিরা।

খানসামা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে খানসামার ৬টি ইউপির ১৬২০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হয়েছে। যা গত বছরে ছিল ১৫০০ হেক্টর জমিতে।

খানসামার গোয়ালডিহি, দুবলিয়া, হাসিমপুর, নলবাড়ি, ভাবকী, কাচিনীয়া, গুলিয়ারা, আগ্রা, উত্তমপাড়া ও বালাপাড়া গ্রামে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রসুনের আবাদ হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ আগে প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশায় রসুন গাছের পাতা হলুদ রঙ ধারণ করে বিবর্ণ হয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েন রসুন চাষিরা। এখন আবহাওয়া ভালো ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাদা সোনাখ্যাত রসুন নিয়ে আশার আলো দেখছেন চাষিরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর রসুনে সাফল্যের আশা করছে কৃষি বিভাগ।

কৃষকরা জানায়, রসুনচাষে জমি প্রস্তুত, বীজ, হাল, পরিচর্যা, সার ও সেচ মিলে বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে অন্তত ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। বীজের মূল্য বেশি থাকায় রসুন চাষে এবছর খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিঘাপ্রতি ফলন হবে প্রায় ৫৫-৬০ মণ। প্রতিমণ রসুনের বর্তমান বাজার দর ৭-৮ হাজার টাকা। এতে খরচ বেশি হলেও লাভের আশা করছেন তারা। অন্যদিকে হলুদ চাষে একই অবস্থার সৃষ্টি হয়। কিন্তু উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও আবহাওয়া ভালো হয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা কাটিয়ে উঠছেন রসুন ও হলুদ চাষিরা।

গোয়ালডিহি ইউপির জমিরশাহ পাড়ার রসুনচাষি আমিনুল ইসলাম বলেন, শীত ও কুয়াশা কেটে যাওয়ায় কিছুদিন থেকে আবহাওয়া ভালো এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী কীটনাশক স্প্রে ও পরিচর্যা করায় রসুন ক্ষেতের উন্নতি হয়েছে। এ বছর ১ বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছি। ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি। গত বছরের তুলনায় এবছর রসুনের দামও বেশি।

খানসামা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হাবিবা আক্তার বলেন, কিছুদিন পূর্বে শৈত্যপ্রবাহের কারণে রসুনক্ষেত হলুদ বর্ণ ধারণ করেছিল। এখন আবহাওয়া ভালো হয়ে যাওয়ায় আশা করছি রসুনের ফলনও ভালো হবে। প্রয়োজনে কৃষকদের কৃষি বিভাগের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

 



এই পাতার আরো খবর