ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কুমিল্লায় বাড়ছে মেশিনে ধান লাগানো
কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লায় বাড়ছে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে ধান লাগানো। এবার জেলার ১৭ উপজেলার মধ্যে ১১টি উপজেলার ৬৫০ একর জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে বোরো ধান লাগাচ্ছেন কৃষকরা। এতে খরচ কম লাগছে, বাঁচছে সময়।

কৃষি অফিস সূত্র জানায়, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে ২৫-৩০ দিনের সঠিক বয়সের চারা রোপণ করা যায়। এতে ধানের জীবনকাল ১০-১৫ দিন কমে আসে। তাছাড়া সঠিক গভীরতায় চারা রোপণ সম্ভব হয়। এতে প্রতি গুছিতে কুশির সংখ্যা বেশি হয়। ফলন ১০-১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

বুড়িচং উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে বুধবার রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বড়িচং উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আফরিণা আক্তার। 

স্থানীয় কৃষক শাহ আলম ভূঁইয়া জানান, দুই বিঘা জমি রোপণে ন্যূনতম আট হাজার টাকা খরচ হতো। এখন দুই হাজার ৪০০ টাকা খরচ হয়েছে। আগে ধান রোপনে অনেক পরিশ্রম করতে হতো। এখন আধা ঘণ্টায় কাজ শেষ।

বড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. আফরিণা আক্তার বলেন, সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় বুড়িচংয়ের ৫০ একর জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চারা রোপন করা হয়। সনাতন পদ্ধতিতে জমি চাষে বিঘা প্রতি ৩৫০০ টাকা খরচ হতো, এখন রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ২০০০ টাকা খরচ হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ জানান, এই বছর কুমিল্লায় ১১টি উপজেলায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ৬৫০ একর জমিতে ধানের চারা রোপন করা হচ্ছে। তার মধ্যে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ৫৫০ একর ও প্রণোদনার মাধ্যমে ১০০ একর জমিতে ধান লাগানো হচ্ছে। অল্প ব্যয়ে ও কম সময়ে অধিক ধান উৎপাদন করার জন্য রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহারে ঝুঁকছেন কৃষক।

সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রীকিকরণ প্রকল্পের পরিচালক তারিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, এবার দেশে বোরো মৌসুমে ১৫০০০ হাজার একর জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধান লাগানো হচ্ছে। প্রকল্প থেকে ৩০০টি উপজেলায় অটোমেটিক বীজ বপন যন্ত্র প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বীজ ও ট্রেতে চারা করতে সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত



এই পাতার আরো খবর