ঢাকা, রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

গলাচিপায় সরিষা চাষে আগ্রহ বেড়েছে
সাজ্জাদ আহমেদ মাসুদ, গলাচিপা

পটুয়াখালীর গলাচিপায় সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে কিছু কিছু ইউনিয়নে হালকা পাতলা সরিষা চাষ হলেও এবার পৌরসভা ও উপজেলার ১২টি ইউনিয়নেই সরিষা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গতবারের চেয়ে এবার সরিষা উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া সময়মতো প্রণোদনা দেওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

সরেজমিন দেখা গেছে, গলাচিপা পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন সরিষা ক্ষেতে দুলছে যেন হলুদ পাখি। প্রকৃতির মাঠ জুড়ে সরিষা ফুলের সৌন্দর্য উঁকি দিচ্ছে। সরিষা ফুলে হলুদের সমারোহে চারদিকে অপরূপ সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। দিগন্ত জুড়ে হলুদ ফুলের চারপাশে গুনগুন করছে মৌমাছি। প্রকৃতিপ্রেমীরা আবার দিগন্তজুড়ে এই হলুদ ক্ষেতে সেলফি তুলছেন। এ এক মনোরম দৃশ্য। মাঠ ভরা হলুদ সরিষা ফুলে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। সরিষা চাষ দেখে পাশের গ্রামের কৃষকরা উৎসাহিত হয়েছেন। সরিষা চাষে কম খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায়। আগামী মৌসুমে মাঠজুড়ে সরিষা চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোপা আমন শেষে স্থানীয় কৃষকরা সেই জমিতে সরিষা চাষ করেন। ফলে এবার সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। চলতি মৌসুমে ৫৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে, যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০ হেক্টর। গত বছর উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়। গত বছরের তুলনায় এবার ১৫ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। সরিষা আবাদ বৃদ্ধির জন্য পাঁচ হাজার ১২৫ জন কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, স্বল্প খরচে, কম পরিশ্রমে বেশি লাভবান হওয়া যায় সরিষা চাষে। বিশেষ করে ভোজ্য তেলের মূল্য বেশি হওয়ায় সরিষা চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। সরিষার খৈল দ্বারা মাছ ও গরুর খাবার তৈরি হয়।

কৃষক মোফাজ্জেল চৌকিদার জানান, এবার তিনি ৭০ বিঘা জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেন। সরিষা ভাঙিয়ে নিজের চাহিদা মিটিয়ে বাকি তেল বাজারে বিক্রি করে তিনি অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার বলেন, উপজেলায় সরিষার চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে আশা করছি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর