ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

করতোয়া নদী বাঁচাতে খননের উদ্যোগ
আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া
ফাইল ছবি

বগুড়া শহরের বুক চিড়ে প্রবাহিত হওয়া করতোয়া নদী বাঁচাতে খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ নদী দখল ও দূষণ নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন খননের উদ্যোগ নেয়। প্রায় ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭ কিলোমিটার নদী খনন কাজের টেন্ডার আহ্বান এবং ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়েছে। 

বুধবার (১৩ মার্চ) করতোয়া নদী পুনঃখনন ও ডানতীরে স্লোপ প্রটেকশন কাজ শীর্ষক প্রকল্পের শাজাহানপুর উপজেলা অংশে নদী খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। উপজেলার মাদলা ব্রিজ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) বগুড়া জেলা কার্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খনন কাজ উদ্বোধন করেন বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা আলম নান্নু।

জানা যায়, প্রায় ১৮০ কিলোমিটার করতোয়া নদীর তীর ঘেঁষে প্রাচীন পুন্ড্রনগরীর গোড়াপত্তন হয়। যে নদীতে চলত বড় বড় নৌযান, সেখানে এখন আর ডিঙি নৌকাও চলে না। শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটে আবার বর্ষায় ছোট্ট বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হন মানুষ। করতোয়া নদী সত্তর দশকে প্রমত্তা ছিল। 

জনশ্রুতি আছে এ নদীতে সওদাগরী জাহাজ, লঞ্চ এবং বড় বড় নৌকা বজরা যাতায়াত করত। পণ্য পরিবহন হতো এবং ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। পুন্ড্রবর্ধন নগরী বগুড়া এবং করতোয়া নদীকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলে সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। কালক্রমে সেসব বিলীন হওয়ার পথে। 

সংশ্লিষ্টরা জানায়, বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ১৩টি গ্রুপে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এ প্রকল্পে করতোয়া খননের পাশাপাশি এসপি ব্রিজ থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত ওয়াকওয়ে হবে। তাতে গাছ লাগানো থাকবে। বসার জন্য বেঞ্চও থাকবে। চিত্তবিনোদনের পাশাপাশি নির্মল বাতাস গ্রহণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।  পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হক জানান, করতোয়া নদীর প্রাণ ফিরে পেতে বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে করতোয়া নদীর পরিবেশ দূষণ বন্ধ, শহরের যানজট নিরসনে সড়ক নির্মাণ। নদী দখলমুক্ত করণ। প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭ কিলোমিটার খনন কাজ সম্পন্ন হবে। পর্যায়ক্রমে ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর