রক্তিম কৃষ্ণচূড়ার চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য যেন হার মানায় ঋতুরাজ বসন্তকেও। এই কৃষ্ণচূড়াই গ্রীষ্মকে দেয় অন্য এক মাত্রা, যা দেখলে যে কারো মন জুড়িয়ে যায়।
লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া ফুল প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজিয়ে রঙিন করেছে এখন। গ্রীষ্মের তপ্ততায় যখন হাঁপিয়ে উঠেছে প্রকৃতি, সেই সময়েও চারদিকে সবুজের বুক চিরে রক্তিম লাল আভা জানান দিচ্ছে তার নয়নাভিরাম রূপের। জানান দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়া গ্রীষ্মকালেরই প্রতীক।
এমনই চিত্র দেখা গেছে দিনাজপুরের খানসামায়। উপজেলার বিভিন্ন স্থানের গাছে গাছে কৃষ্ণচূড়ার লাল মোহনীয় রূপে সেজেছে পথে-প্রান্তরে।
উপজেলার পাকেরহাট ধানহাটি, শিশু পার্ক, কলেজ মোড়, শাপলা চত্বর, বেলতলী ও কৃষ্ণচূড়া মার্কেট এলাকায় দেখা যায়, মূল সড়ক ও সংযোগ সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী দপ্তর এমনকি বাড়ির উঠানে অনন্য রুপ ধারণ করে ফুটেছে রক্তিম কৃষ্ণচুড়া। কৃষ্ণচূড়া ফুলে দৃষ্টি কাড়ছে মানুষের। প্রকৃতিপ্রেমী দর্শনার্থীরা কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে গাছের আশেপাশে সময় কাটাচ্ছেন আবার কেউ ফুলের সাথে সেলফি তোলায় ব্যস্ত।
নাজীমুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, এখন যে গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহ এই সময়ে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য স্বস্তি দেয়। কৃষ্ণচুড়ার ফুল নতুন রঙে রাঙিয়েছে। এমন সৌন্দর্য মনকেও ভালো রাখে।
পাকেরহাট এলাকার মোকছেদুল ইসলাম বলেন, কৃষ্ণচুড়া শুধু সৌন্দর্যবর্ধন করে না, গ্রীষ্মের এ আগুনঝরা দিনে তার ছায়ায় আমরা আশ্রয় নিয়ে সময় কাটাই। ছাতিয়ানগড় গ্রামের কৃষক মোতালেব ইসলাম বলেন, কৃষিকাজের মাঝে এই কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বিশ্রামের জন্য বসি। এ গাছের নিচে বসলে শরীরও শীতল হয় এবং এর সৌন্দর্য মুগ্ধতা ছড়ায়।
এবিষয়ে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজ উদ্দিন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কৃষ্ণচূড়ার গাছ রয়েছে। এই গাছ ও ফুলের নান্দনিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ সবাই। এই গাছ রক্ষায় ও নতুন গাছ রোপণে উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ কাজ করছে। সেই সাথে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্ব স্ব এলাকায় বৃক্ষরোপণ করার আহŸানও জানান এই কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল