ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের গ্রামীণ জনপদে ধান শুকাতে ব্যস্ত কৃষকরা
দিনাজপুর প্রতিনিধি
ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

তীব্র তাপদাহ ও বৈরী আবহাওয়ার পরেও এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। দিনাজপুরের অধিকাংশ কৃষক তাদের উৎপাদিত ধান মাড়াই শেষে ঘরে তুলেছেন। আর কিছু এলাকায় এখনও ধান বিস্তীর্ণ মাঠে যা কয়েকদিনের মধ্যেই মাড়াই শেষ হবে বলে জানায় কৃষকরা। এখন গ্রামীন জনপদের প্রায়ই বাড়িতে ধান মাড়াই করার পর চলছে ধান সিদ্ধ ও শুকানোর উৎসব। এ কারণে গ্রামবাংলার প্রতিটি পরিবারের ছেলে মেয়ে নারী-পুরুষসহ সকলেই ধান শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। যদিও এমন অবস্থা দিন দিন কমে যাচ্ছে বিভিন্ন চালকলের কারণে।  

বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউপির বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, ধান মাড়াইয়ের পর গ্রামীণ নারীরা ছোট ছোট বস্তা করে, সেই ধানের বস্তা পুকুরে বা বাড়ির নির্দিষ্ট স্থানে গর্ত করে ভেজাতে দিচ্ছেন। সেই ভেজা ধান (৭-৮) ঘণ্টা পানিতে রাখার পর চুলায় বড় হাড়িতে সিদ্ধ করছে। আর এই ধান সিদ্ধ চলছে বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। পরে খুব সকালে কেউ ভ্যানে কেউবা সাইকেল যোগে বস্তায় এই সিদ্ধকৃত ধান  শুকানোর জন্য বিস্তীর্ণ মাঠে নিয়ে যায়। তবে এই সিদ্ধ ধান মাঠে দেওয়ার আগে বড় আকারের নেট বিছানো হয়। তারপর সেই নেটে দেওয়া হয় সিদ্ধকৃত ধান। ধান শুকাতে সময় লাগে ২-৩ দিন। তবে কোনও সময় প্রচণ্ড রোদ হলে একদিনেই শুকিয়ে যায়। আর ধান শুকানোর পর সেই ধান ছাটাই করে কাঙ্খিত চাল পাওয়া যায়। যা পরবর্তী আমন আসা পর্যন্তই সেই চালের ভাত খেয়ে থাকেন গ্রামীণ জনপদের মানুষ। এ অবস্থা প্রত্যন্ত বিভিন্ন গ্রামে। 

এ ব্যাপারে মোহনপুর ইউপির দক্ষিণ পলাশবাড়ী গ্রামের রহিমা বেগম বলেন, এক বিঘা ধান মাড়াই করার পর সেই ধান সিদ্ধ দিয়ে মাঠে নিয়ে এসেছি। বাসায় ধান শুকানোর তেমন জাগায় নেই, দিনের অল্পসময়ে ছায়া চলে আসে, আকাশের অবস্থা ভালো না। অল্প পানিতেই কাদা হয়, তাই ফাঁকা মাঠে নিয়ে এসেছি। ধান শুকাতে কম বেশি সারাদিনের রোদ পাওয়া যাবে। কোনও প্রকার ঝামেলা হবে না। 

কৃষক ফিরোজ আলম বলেন, আগে গ্রামের প্রত্যেক বাড়ির উঠানে ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজ করা হতো। কিন্তু আজ গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে ফাঁকা জায়গার অভাব। সেই কারণে স্কুল মাঠ কিংবা ফসলি মাঠের ফাঁকা জায়গায় নেট (জাল)-এর উপর ধান শুকানো হচ্ছে।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর