ঢাকা, বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা অঞ্চলে বিনষ্ট ৮৪ হাজার হেক্টর ফসলি জমি
সহায়তার যত পরিকল্পনা
মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

এবারের বন্যায় এখনো পর্যন্ত কুমিল্লা অঞ্চলের তিন জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৮৪ হাজার ১৬০ হেক্টর ফসলি জমি। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে বাড়ছে ক্ষতির পরিমাণ। বন্যাদুর্গতদের কষ্ট লাঘব করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কৃষি বিভাগ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সুবিধার্থে হাতে নেওয়া হয়েছে আমন ও রবি মৌসুমে সহায়তা কর্মসূচি। বন্যা পরবর্তীতে আমন মৌসুমে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) থেকে ১১৬ একর জমির জন্য বিনার বিভিন্ন জাতের ৪৪০০ কেজি বীজের চারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ট্রে ও জমিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এছাড়া ৩০০০ কেজি বীজ সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে, যা দিয়ে ২৫০ একর জমি প্রস্তুত করা যাবে। 

রবি মৌসুমে বিনা সরিষা ৯ পাঁচটন ও বিনাসরিষা-১১এর ৭০ টন বীজ সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে। যা ৩৫ হাজার একর জমিতে বপন করা যাবে। এছাড়া ২০০ একর জমির জন্য মাষকলাইয়ের জাত বিনা মাষ-২ তিনটন, ২০০ একর জমির জন্য বিনা খেসারী-১ তিনটন, ৯ হাজার একর জমির জন্য বিনাতিল-২ ২০ টন, ২৩৮ একর জমির জন্য বিনা চিনাবাদাম-৪,৬,৮ দশটন, ১৩হাজার৩৩৩ একর জমির জন্য বিনাধান-২৫ এর বীজ সহায়তা হিসেবে প্রদানের পরিকলপনা করা হয়েছে। এছাড়া দুই হাজার বিঘা জমিতে ২০০০টি প্রদর্শনীর জন্য সার ও বীজ প্রদান করা হবে।  সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের আমন ধানের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। উৎপাদিত চারা কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের প্রদান করা হবে।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) কুমিল্লা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অফিস প্রধান ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান জানান, কৃষি উপদেষ্টা, কৃষি সচিব ও বিনার মহাপরিচালক বন্যা পরবর্তীতে দ্রুত পরিত্রাণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষকের পুনবার্সনের জন্য এখনই বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন।  বন্যাদুর্গত অঞ্চলের মধ্যে যেখানে দ্রুত পানি কমে যায়, ওইসব জায়গায় ধানের চারা ও বীজ সহায়তা দেওয়া হবে। পানি ধীরে কমা অঞ্চলে সরিষা, তিল, মাষকলাই, চিনাবাদামের বীজ দেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর