ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ইবি'র পরিবহন সমস্যা নিরসনে উন্মুক্ত আলোচনা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিবহন ব্যবস্থায় গতিশীলতা ও সমস্যা সমাধানের দাবিতে উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রমৈত্রী ও শাখা ছাত্র ইউনিয়নের আয়েজনে বেলা ১২ টার দিকে ক্যাম্পাসের ডায়না চত্ত্বরে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী লিখিত ও মৌখিকভাবে তাদের পরিবহন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বন্ধের দিনে পর্যাপ্ত বাস না থাকায় ঠাসাঠাসি করে শিক্ষার্থীদের কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ শহরে যাতায়াত করতে হয়। অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক ও সহযোগীদের দ্বারা ভাড়া করা বাস গুলো পরিচালিত হয়, ফিটনেস বিহিন অবৈধ গাড়ি ব্যবহার করা হয়, ঝিনাইদহ থেকে আসা এসব গাড়ি গুলো রাস্তায় প্রতিযোগীতা করে চলাচল করে। এতে প্রায় সময়ই ছোট ছোট দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী লাবন্য লাবনী অভিযোগ করে বলেন, বাসে রুট প্লান টানিয়ে দেওয়া না থাকায় বিপাকে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। 

ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুল ইসলাম মোস্তা বলেন, ড্রাইভার ও হেল্পারদের আচরণ প্রচন্ড খারাপ। ভাড়া বাস গুলোতে উঠতে গেলে প্রায় সময়ই নিতে চায়না। তারা বাস ফাঁকা রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে গিয়ে সাধারণ যাত্রীদের উঠায়। এতে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের দাড়িয়ে যেতে হয়। হেল্পার ভাড়া উঠাতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের নিকটও ভাড়া চেয়ে বসে। 

ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী বিপুল হোসেন বলেন, কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ থেকে আসা ভাড়া বাসের অধিকাংশ ড্রাইভাররা অদক্ষ। যার ফলে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী লিখিতভাবে বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন।

এসব অভিযোগের জবাবে পরিবহন অফিসের সহকারী রেজিস্ট্রার জামাল হোসেন বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বাসে রুট প্লান দেয়া হবে। এছাড়া আগামী জুলাই মাসের পর আর কোন অদক্ষ চালক ও ফিটনেস বিহীন গাড়ি থাকবে না। বাকি সমস্যাগুলো নিয়ে পরিবহন প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করবো।

এদিকে, আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক রেজওয়ানুল ইসলাম ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক সাইদুর রহমান উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও আসেননি বলে অভিযোগ করেছে আয়োজকরা। এবিষয়ে পরিবহন প্রশাসক বলেন, পারিবারিক সমস্যার কারণে আমি উপস্থিত হতে পারিনি। সেখানে পরিবহন অফিসের এক কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি। 

বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর