ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনায় প্রতিবেদন জমা, শুক্রবার সিদ্ধান্ত
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
শিক্ষাকার অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে শিক্ষার্থীরা। ইনসেটে অভিযুক্ত শিক্ষিকা। (ফাইল ছবি)

সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় দুই দফা সময় নিয়েও তদন্ত কমিটির কাছে আত্মপক্ষের বক্তব্য উপস্থাপন করতে আসেননি অভিযুক্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় তদন্ত কমিটির নিকট উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য উপস্থাপনের দিন ধার্য্য ছিল। তদন্ত কমিটি বিকেল ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও অভিযুক্ত শিক্ষিকা না আসায় তার সঙ্গে কথা না বলেই তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে জমা দিয়েছেন। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেল জানান, অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের জন্য বিকেল ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হলেও তিনি উপস্থিত হননি। এমন কি কোন যোগাযোগও করেননি। তাই আমরা যে তদন্তে যে সমস্ত তথ্য পেয়েছি তার ভিত্তিতে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দিয়েছি। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে জানালেও এ বিষয়ে এর বেশি কিছু বলেননি তিনি।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেজারার আব্দুল লতিফ জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। শুক্রবার ঢাকা অফিসে সিন্ডিকেট সভায় সবার সামনে সেটি খোলা হবে। তদন্ত প্রতিবেদনের ওপরে ভিত্তি করে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন নিজেই কাঁচি হাতে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন বলে অভিযোগে ওঠে। সেই শিক্ষার্থীদের একজন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে তাকে বকাঝকা করায় আত্মহত্যার চেষ্টা করলে ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা ইয়াসমিন। যদিও তিনি শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। ওই ঘটনায় ফারহানা ইয়াসমিনকে অপসারণের দাবিতে অনশন শুরু করে একদল শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের চলমান অবস্থায় চুল কাটার একটি সিসি টিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ফারহানা ইয়াসমিনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি একটি বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ড বন্ধ রাখার নির্দেশনা হয়। এ অবস্থায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনশন তুলে নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবরোধে করে সামনে অবস্থান করতে থাকে। পরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন। 

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর