ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীতে ডুয়েটে নানা আয়োজন
গাজীপুর প্রতিনিধি :

যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকাল সোয়া ৬টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, লাইব্রেরি ভবন ও হলসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। 

দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ও পরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালিত হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জীবন ও কর্মের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো মহানায়কের জন্মবার্ষিকীর মাহেন্দ্রক্ষণ বাঙালি জাতির জন্য পরম পাওয়া। একই সঙ্গে মার্চ মাস বাঙালির স্বাধীনতার মাস। এই মার্চ মাসটি বাঙালি জাতির জীবনে একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ মাস। তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনাকালে বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ থেকে বিভিন্ন উদ্ধৃতি দিয়ে বেশি বেশি বই পড়ার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস চর্চা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে দীক্ষিত হতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন।

তিনি জাতীয় শিশু দিবসের কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তিনি সবসময় শিশুদের দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে উঠবার অনুপ্রেরণা যোগাতেন। তিনি শিশুদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ যাবতীয় মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ও মেধা বিকাশের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছিলেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেন। কারণ তিনি জানতেন আজকের শিশুরা আগামীদিনের বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। 

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের তাৎপর্য তুলে ধরে সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য সবাইকে শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান।

জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর রচনা প্রতিযোগিতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ও গবেষণা দর্শন’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা। পরে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবনের উপর চিত্র প্রদর্শনী এবং তাঁর জীবন ও দর্শনের উপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী হয়। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাস সেজেছে বর্ণিল আলোকসজ্জায়।

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর