ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আইনগত জটিলতায় রাবিপ্রবির নতুন উপাচার্য
চবি প্রতিনিধি
অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল ফারুক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন একই অনুষদের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল ফারুকের ডিন নির্বাচন নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) উপাচার্য পদে যোগদান ও একইসঙ্গে ডিন নির্বাচনেরও প্রার্থী হওয়ায় আইনি জটিলতার বিষয়টি সামনে এসেছে। অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনও ডিন নির্বাচনে একজন প্রার্থী। 

রবিবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও ডিন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বরাবর একটি চিঠি দেন অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন। 

চিঠিতে বলা হয়, আগামী ৩০ মার্চ আইন অনুষদের ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে অনুষদের ডিন প্রার্থী ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুককে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গত ২৩ মার্চ রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল ফারুক বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত বক্তব্য থেকেও উপাচার্য পদে যোগদানের বিষয়টি সুস্পষ্ট। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি ডিন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাও বহাল রেখেছেন। এক্ষেত্রে উপাচার্য হিসেবে যোগদানের ইচ্ছা ও ডিন নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার পেছনে পরিকল্পিত অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আইনগত জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় আপনার সুচিন্তিত হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 

এ বিষয়ে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, আমি এখনো রাবিপ্রবিতে উপাচার্য হিসেবে যোগদান করিনি। সেই হিসেবে আমি এখনো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাছাড়া ডিন নির্বাচনের চুড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০ মার্চ। উপাচার্যের প্রজ্ঞাপন এসেছিলে ২৩ মার্চ, সেই হিসেবে আমার নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে আইনি কোনও বাধা নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও ডিন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, আমি চিঠি পেয়েছি। কিন্তু যেহেতু ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক এখনো উপাচার্য পদে যোগ দেননি, তাই তিনি এখনো ডিন নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী। এরপরও উনার বক্তব্য জানার জন্য আমি একটি চিঠি দেবো। 

 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর