ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

রুয়েটে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে ইউজিসি
প্রকল্পের বেচে যাওয়া টাকা নিজের মতো করে খরচ হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) নতুন বিভাগ খোলা প্রকল্পে অনিয়ম পেয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রকল্পে বেচে যাওয়া টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়া হয়নি। এখনও প্রকল্পের হিসাব নম্বরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা জমা আছে। গত দুই দিন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটির তিন সদস্য তদন্ত করে এসব তথ্য পেয়েছেন। 

কমিটির সদস্যরা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, প্রকল্পের টাকা বেচে গেলেও মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, সব টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু টাকা অবশিষ্ট থেকে গেছে। এর মধ্যে কিছু টাকা নিজেদের মতো করে খরচ করা হয়েছে। এখনও অর্ধকোটি টাকা ব্যাংকে জমা আছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘পাঁচটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বিভাগ চালুকরণের লক্ষ্যে অবকাঠামোগত ও ল্যাবরেটরি সুবিধা সৃষ্টিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় রুয়েটে গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ চালু করার প্রকল্পে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ২০০৯ সালের ১ জুলাই ২৬ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। মেয়াদ ছিল ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। পরে তা বাড়িয়ে ২০১৬ সালের ৩০ জুন করা হয়।

প্রকল্প পরিচালক (পিডি) হিসেবে দায়িত্বপালন করেন পাঁচজন। সর্বশেষ প্রকল্প পরিচালক ছিলেন আবদুল আলীম। তিনি পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক। প্রকল্প চলাকালে তিনি রুয়েটের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতরের পরিচালক ছিলেন। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট আবদুল আলীম প্রকল্প শেষ হয়েছে বলে ইউজিসিতে প্রতিবেদন পাঠান। এতে তিনি প্রকল্পের বরাদ্দের ২৬ কোটি ১১ লাখ টাকার সবই ব্যয় হয়েছে বলে জানান।

অভিযোগের বিষয়ে আবদুল আলীম বলেন, ‘তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে বলবে। তহবিল তছরুপের কথা সঠিক নয়।’ ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, সরকারি সংস্থার মাধ্যমেই রুয়েটের একটি বিভাগ খোলার প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে জানতে পারে ইউজিসি। গত ২০ এপ্রিল ইউজিসি বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়। সেদিন ইউজিসির সচিব, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ফেরদৌস জামান এবং দুই উপ-পরিচালক রোকসানা লায়লা ও আবদুল আলীমকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ তিন কর্মকর্তা গত রবিবার ও সোমবার রুয়েটে অবস্থান করেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান ফেরদৌস জামান বলেন, তদন্তে পেয়েছেন রূপালী ব্যাংকের রুয়েট শাখায় প্রকল্পের হিসাব নম্বরে এখনও ৫০ লাখ ৩৬ হাজার ৮৫৯ টাকা জমা আছে। এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর



এই পাতার আরো খবর