ঢাকা, রবিবার, ২১ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

লুঙ্গি পরে ক্যাম্পাসে আসায় ইবিতে রড-লাঠি-স্টাম্প নিয়ে মহড়া, মারামারি
অনলাইন ডেস্ক
সংগৃহীত ছবি

লুঙ্গি পরে ক্যাম্পাসে আসার জের ধরে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে অন্তত ১৫-১৬ জন আহত হয়েছেন। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী।

আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর অনুষদ ভবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ আগস্ট লুঙ্গি পরে ক্যাম্পাসে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হুজ্জাতুল্লাহ ভূঁইয়া। এজন্য ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের জহুরুল ইসলাম রিংকু তাকে শাসান ও মারধর করেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩১ আগস্ট দিবাগত রাতে ১২-১৫ জন আগে থেকেই হলের লাইট বন্ধ করে ওত পেতে থাকেন হুজ্জাতুল্লাহ ও তার বন্ধুরা। পরে রিংকুকে জিয়াউর রহমান হলের সামনে একা পেয়ে লাঠি-স্টাম্প দিয়ে মারধর করে তারা পালিয়ে যান।

এরপর আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর আল আমিনসহ তার বন্ধুদের মারধর করেন রিংকু ও তার বন্ধুরা। এ সময় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের রিংকু, হামজা এবং লোক প্রশাসন বিভাগের জামিলসহ আরও কয়েকজন ছিলেন বলে অভিযোগ করেন আল আমিন। পরে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মজুমদারসহ সিনিয়র কর্মীরা সবাইকে হলে পাঠিয়ে দেন।

তারপর শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ডাইনিংয়ে খেতে গেলে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থবর্ষের শিক্ষার্থী আশিক মারধরের শিকার হন। এ সময় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ্র ভৌমিক, অর্ক এবং আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সুমন ছিলেন বলে অভিযোগ করেন আশিক।

আশিককে মারধরের ঘটনা জানার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে তার বন্ধুরা লাঠি, রড, স্টাম্প নিয়ে বের হন। অন্যদিকে জিয়াউর রহমান হলে আল আমিন ও সিনিয়ররা রড, লাঠি ও স্টাম্প নিয়ে মহড়া দিতে থাকেন। পরে ছাত্রলীগের সিনিয়র কর্মীরা দুইপক্ষকে শান্ত করেন।

ভুক্তভোগী আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আল-আমিন বলেন, ‌‘গতরাতে কে বা কারা রিংকু ভাইকে মেরেছে আমি জানি না। তারা আমাকে সন্দেহ করে নামাজের পর মারধর করেন।’

জহুরুল ইসলাম রিংকু বলেন, ‘আমি নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় আশপাশ থেকে গতদিনের ঘটনা নিয়ে কয়েকজন কটূক্তি করেন। এ সময় আমার সঙ্গে থাকা বন্ধু ও ছোট ভাইয়েরা সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘শুনলাম সিনিয়র এবং জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এদের দায়ভার সংগঠন নেবে না। আমার ব্যক্তিগত মতামত, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে এমন ঘটনার কারণ বিচারহীনতা। প্রশাসনকে এরসঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার করতে হবে।’

প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘জুমার নামাজের পর বেশকিছু শিক্ষার্থী মারামারিতে জড়িয়েছে বলে শুনেছি। পরে আমি দায়িত্বরত সহকারী প্রক্টর ও সিকিউরিটিকে জানিয়েছি। আগামীকাল তাদের সঙ্গে বসব।’

বিডি-প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর