ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

শেকৃবিতে নগর কৃষি মেলায় জমজমাট সবুজের বাজার
শেকৃবি প্রতিনিধি
ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

‘নিরাপদ খাদ্য নগরীয় প্রতিবেশ, সকলে মিলে আগামীর বাংলাদেশ’-এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে দেশে প্রথমবারের মতো নগর কৃষি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) প্রধান সম্মেলনকক্ষে দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। আটটি শেয়ারিং গ্রুপ, সাতটি বাই-সেল গ্রুপ, পাঁচটি নার্সারি, উদ্যোক্তা, বাগানি এবং শেকৃবির কৃষি ক্লাবসহ ৪০টি স্টল মেলায় অংশ নেয়। বেলা বাড়ার সাথেসাথে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে মেলা প্রাঙ্গণ ছিল জমজমাট সবুজের বাজার। বিভিন্ন সবজির চারাগাছ, বীজ নিতে গ্রীন লাভার সোসাইটির স্টলে ছিল উপচে পড়া ভিড়। 

ধানমন্ডি থেকে সরকারি চাকরিজীবী ফাহমিদা হক এখান থেকে কিনলেন মরিচ ও বেগুনের চারা। তিনি বললেন, বাসার ছাদে এখনও বাগান করা হয়নি, তবে আমার দুইটি বেলকনি। সেখানেই টবে লাগাবো এগুলো। আমার একটা বেলকনি পুরোটাই কয়েকপ্রকার সবজি ও ফুলের গাছে ছেয়ে গেছে, দেখতেও যেমন ভালো লাগে, পারিবারিক চাহিদাও মিটে বেশ।

মেলা প্রাঙ্গণে আরও ছিল কৃষি গবেষকদের সমন্বয়ে কারিগরী সেশন। নগরকৃষি কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন ধারণা, পরামর্শসহ দর্শণার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান দেন শেকৃবি এগ্রিকালচারাল বোটানি বিভগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব ইসলাম ও উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু নোমান ফারুক আহমেদ। মেলার মিডিয়া পাটর্নার বাংলাদেশ প্রতিদিন।

বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার মেলার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, এ দূষিত ঢাকার জন্য নগর কৃষি যে কত গুরুত্বপূর্ণ আমরা আজ তা মর্মেমর্মে উপলব্ধি করছি। নগর কৃষিকে নগরবাসীর জন্য অক্সিজেন ও প্ল্যান্ট ফ্যাক্টরি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে নগরবাসীকে সবুজায়নে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে এরকম নগর কৃষি মেলা বিশেষ ভূমিকা রাখবে। 

যারা বাসা-বাড়িতে বাগান গড়ে তুলছেন তাদের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ট্যাক্স কম রাখতে আহ্বান জানান মন্ত্রী। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূইয়া, শেকৃবি ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চেীধুরী, মেলা আয়োজক পর্ষদের উপদেষ্টা শেকৃবি উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত এম সোলায়মান ও আহ্বায়ক প্রকৌশলী গোলাম হায়দার।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর