ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বয়সের ভারে ডালপালা ভাঙছে প্যারিস রোডের গাছগুলোর
রাবি প্রতিনিধি
প্যারিস রোড

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সৌন্দর্যের প্রতীক প্যারিস রোড। এই সৌন্দর্যের অন্যতম কারণ রাস্তার দু’পাশে আকাশচুম্বী চিরসবুজ গগণশিরিশ গাছ। যুগ যুগ ধরে হাজারও শিক্ষার্থীর আবেগ-অনুভূতির সাক্ষী এই রোড। তবে কালের প্রবাহে বিলীন হতে বসেছে এই সৌন্দর্য। হালকা বাতাসে ভেঙ্গে পড়ছে গাছের ডাল। ফলে প্রতিনিয়ত এই রাস্তা জুড়ে বাড়ছে আতঙ্ক।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভীদবিজ্ঞান বিভাগের একাধিক অধ্যাপক বলছেন, এই গগনশিরিশ গাছগুলোর একটি নির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল থাকে। যা এখন প্রায় শেষ। ফলে গাছগুলো ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। তাই হালকা বাতাসে ডালপালা ভেঙে পড়ছে। বৃহৎ কোন দুর্ঘটনা রোধে ভঙ্গুর গাছগুলো কেটে ফেলা উচিত। তবে এই রোড ক্যাম্পাসের অন্যতম সৌন্দর্যের প্রতীক। তাই সেই সৌন্দর্য রক্ষার্থে পরিকল্পিতভাবে পুনরায় বৃক্ষরোপণের পরামর্শ দেন তারা। 

জানা গেছে, প্যারিস রোড ক্যাম্পাসের ব্যস্ততম একটি রাস্তা। প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এই রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। ছুটির দিনে বাড়ে দর্শনার্থীদের ভীড়। আজ (বুধবার) বিকেলে ক্যাম্পাসে হালকা বাতাসেই বৃহৎ আকৃতির একটি গগনশিরিশ গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়েছে। পূর্বেও এমন ডাল ভেঙ্গে পড়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে অনেকে রক্ষা পেয়েছে। এসব ডালপালা ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ ক্ষয়ক্ষতিও হচ্ছে। 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, সৌন্দর্য যাতে দুর্ঘটনার কারণ না হয়, সেদিকে এখনি কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া জরুরি। কেননা দেশে কালবৈশাখী চলছে। বৃহৎ কোন দুর্ঘটনা ঘটা অসম্ভব কিছু নয়। তাই দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত ডালপালা কেটে ফেলা উচিত। অনেকের অভিযোগ, কনস্ট্রাকশনের কাজের জন্য এসব গাছের ক্ষতি হয়েছে। এমনকি সময় মতো এসব গাছের চারা না লাগানোর জন্য এই রাস্তার ঐতিহ্য আজ হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ এই রোডে হাজারো শিক্ষার্থীর আবেগ-অনুভূতি জড়িয়ে আছে। তাই সেই সৌন্দর্য বর্ধনে প্রশাসনের দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তারা।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, প্রতিনিয়ত যেভাবে ডালপালা ভেঙে পড়ছে, তাতে যেকোন সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই অধিক ঝুঁকি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যের প্রতীক এই প্যারিস রোড। যার সঙ্গে অনেকের নানা আবেগঘন স্মৃতি জড়িয়ে আছে। সেজন্য কিছু বিতর্কও রয়েছে। তবে এটাও মনে রাখা জরুরি যে সব কিছু চিরস্থায়ী নয়। সময়ের সাথে পরিবর্তন আসে। সেটা মেনে নিতে হয়। তাই আগামী প্রজন্মের নিকট এই রোডের সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য কিভাবে টিকে রাখা যায়, সেজন্য সকলের কাজ করা দরকার। 

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর