পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দৈনিক নয়া শতাব্দীর ক্যম্পাস প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ছাত্রলীগ মারপিট করার ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই কমিটি গঠন করে। তবে এই তদন্ত কমিটি পক্ষপাতমূলক তদন্ত করবেন বলে আশঙ্কা পাবিপ্রবি সাংবাদিকদের। তাদের দাবি ঘটনার শুরু থেকেই তারা ছাত্রলীগের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছেন।
পাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির আহ্বায়ক উজ্জল কুমার বিশ্বাস জানান, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ আমরা সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের অপকর্ম ও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার কারণে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের উপর চড়াও হন। আমরা এই হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর থেকে আমাদের সহকর্মী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য সচিব দূর্জয় কর্মকারকে খুঁজে পাচ্ছি না। তাকেও মারপিট করে প্রক্টরিয়াল অফিসে বসিয়ে সাদা কাগজে কিছু লিখে নেওয়ার পর থেকে কোথায় আছেন কেউ বলতে পারছি না। ভয়ে হোক, আর যে কারণেই হোক তাকে কোনোভাবেই খুঁজে পাচ্ছি না।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও পাবিপ্রবির প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, সংবাদকর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মারপিট করার বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আমরা কাজ শুরু করেছি। যারাই এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকুক না কেন, তদন্ত প্রতিবেদনে তা উঠে আসবে। প্রয়োজনে আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকেও বিষয়টি অবহিত করবো।
উল্লেখ্য, আজ দুপুরে পাবিপ্রবির ক্যাফেটেরিয়াতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম প্রান্তর নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত সাংবাদিক মামুন বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই