রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) হলের সিট থেকে এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। পরে হল প্রশাসনকে জানালে সিট ফেরত পান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। শনিবার বিষয়টি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন।
প্রাধ্যক্ষ জানান, আবাসিক শিক্ষার্থীকে সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পেলে হলে যাই এবং সেই শিক্ষার্থীকে সিটে তুলে দেই। হলে যার যেটা সিট, সে সেই সিটে থাকবে। অনাবাসিক কেউ হলে থাকবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর হল প্রশাসনের মাধ্যমে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ১৪৪ নম্বর কক্ষে ওঠেন আবির হোসাইন। তিনি প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ১ ডিসেম্বর ব্যক্তিগত কাজে সন্ধ্যা পর্যন্ত হলের বাহিরে থাকাকালে হল ছাত্রলীগের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফজলে রাব্বি ও তার দুজন অনুসারী আবিরের বিছানাপত্র সিট থেকে নামিয়ে দেন এবং ওই সিটে তাদের অনুসারী পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিয়ামকে তুলে দেন। ফজলে রাব্বি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। ঘটনাটি জানার পর সন্ধ্যার দিকে হল প্রশাসনকে জানায় ভুক্তভোগী আবির। ফলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে হলে আসেন প্রাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর হোসেন, আবাসিক শিক্ষক তানজিল ভূঁইয়া, অনুপম হীরা মণ্ডল, ফারুক হোসেন ও মামুনুর রশিদ। তারা অভিযোগ যাচাই করে আবিরকে সিটে তুলে দেন।
অভিযোগের ব্যাপারে ফজলে রাব্বি জানান, ওই সিটে আগে থেকেই আমাদের এক শিক্ষার্থী উঠেছিল। আবির পরে এসেছে। তবে সমস্যাটি রাতেই সমাধান হয়েছে।
এ ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, বিষয়টি জেনেছি। সিট নিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। রাতেই হল প্রশাসন সেটা সমাধান করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই