ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন ‘শাপলা ফোরামের’ কার্যনির্বাহী পরিষদের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মনকে সভাপতি এবং বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ফোরামের কার্যনির্বাহী সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
নবগঠিত কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম আনিছুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন এবং কোষাধ্যক্ষ পদে মনোনীত হয়েছেন ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
এর আগে গত শনিবার ফোরামটির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত পনেরো জনকে জয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। সংগঠনটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, আজ ফোরামের কার্যনির্বাহী সভায় নির্বাচিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে এদের মধ্যে উপরোক্ত পাঁচ শিক্ষককে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ উল্লেখিত পদসমূহে মনোনীত করা হয়। বাকি ১০ জন রয়েছেন কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে।
কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, একই বিভাগের অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক ড. আনোয়ার হোসেন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীন, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল এবং পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন।
ফোরামের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধু আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করেছি। আমাকে প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। শিক্ষক সংশ্লিষ্ট যেকোন বিষয়ে ভূমিকা রাখাবে শাপলা ফোরাম।
ফোরামের নতুন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, আমরা মনে করি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রমে একটি স্থবিরতা রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন প্রয়োজন। আমরা এসব সমস্যা সমাধান করে প্রশাসনকে পরামর্শ প্রদান করবো। এককথায় স্মার্ট ক্যাম্পাস বিনিমার্নে যতটুকু প্রয়োজন আমরা ভূমিকা রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল