ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

হাত থেকে তরকারিতে পানি পড়ায় দুই ছাত্রকে ছাত্রলীগের মারধর
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে। খাবার দোকানে হাত ধোয়ার পরে হাত থেকে কয়েক ফোটা পানি তরকারিতে ফেলায় তাদের দুজনকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। 

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি গেটের একটি খাবার দোকানে এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন মিউজিক বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী সাকিবুল সুজন। তিনি বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ এবং উন্নয়ন উপ সম্পাদক এবং বর্তমানে মুহসিন হল ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশী নেতা। অন্যজন হলেন, স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের মেহেদী হাসান রায়হান। তিনি হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল ছাত্রলীগের ছাত্র বৃত্তি সম্পাদক।

অন্যদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন, টেলিভিশন ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষার্থী সামাদ আকন্দ এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী হিরন তালুকদার। তারা উভয়েই সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় সামাদ আকন্দ নিজেদেরকে ভুক্তভোগী হিসেবে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে ফোনে অভিযোগ করেন এবং হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগপত্রের কপি জমা দেন।

জানা যায়, আজ দুপুরে সামাদ ও হিরন টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান গেটে খেতে যান। এসময় সামাদ হাত ধুয়ে খাবার নিতে গেলে তার হাত থেকে কয়েক ফোটা পানি তরকারিতে পড়ে যায়। এ সময় দূরে খাবার খেতে থাকা সুজন তাদেরকে বলেন, কেন তিনি টিস্যু দিয়ে হাত না মুছে হাতের পানি তরকারিতে ফেললেন। এসময় তার সাথে মেহেদী হাসান রায়হানও ছিলেন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। এসময় সুজন ও মেহেদীর আঘাতে সামাদের শার্টের বোতাম ছিড়ে যায় এবং গলার কাছে ও মুখে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রায়হান বলেন, ঘটনার সময় আমরা ভাত খাচ্ছিলাম। এসময় সামাদ ভাই হাত ধুয়ে টিস্যু দিয়ে না মুছে হাত ঝারা শুরু করলে হাতের পানি তরকারিতে পড়ে। এটা নিয়ে আমার বন্ধু সুজন তাকে ভালোভাবে বললে তিনি আমাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে শুরু করেন। তাকে (সামাদ) বলার আমরা কে, সে সিনিয়র কেন তার উপর কথা বলছি এজন্য আমাদের বলতে থাকেন। একসময় তিনিই প্রথম সুজনের উপর আঘাত করেন। এতে আমাদের কপাল ও হাত ছিলে যায়। তারাই প্রথম আমাদেরকে হিট করে স্যারের সাথে দেখা করে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। আমরাও আমাদের অভিযোগ তুলে ধরবো।

এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, আমরা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগপত্র পেয়েছি। আমরা আগামী রবিবার বিষয়টি নিয়ে মিটিংয়ে বসবো এবং দুপক্ষের কথা শুনে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর