ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নাটক সমাজ পরিবর্তনের বড় হাতিয়ার : জবি উপাচার্য
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বক্তব্য রাখছেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম

নাটক সমাজ পরিবর্তনের একটা বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।  তিনি বলেন, নানান রকমের চরিত্র নানানভাবে মানুষকে আন্দোলিত করে থাকে।

রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে দ্বিতীয় বার্ষিক নাট্য উৎসবের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, সংস্কৃতি চর্চায় আমাদের নারীরা দেশবিভাজনের সময় থেকেই অগ্রগামী ছিল, সেটা কি হিন্দু, কি মুসলমান! পূর্বে সংস্কৃতি চর্চার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল পুরান ঢাকা, যা এখন বিলুপ্তপ্রায়। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুরান ঢাকার সবাইকে সম্পৃক্ত করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মূল ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন পথনাটকের মধ্য দিয়ে সমাজে জনসচেতনতা তৈরি করা যেতে পারে। প্রগতিশীল সমাজ, ধর্মান্ধতা নয়, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, কল্যাণমুখী রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিকতার চর্চা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, বাক স্বাধীনতা এইগুলোর জন্য নাট্যকলার গুরুত্ব অপরিসীম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, আমি ফিরে গেছিলাম ৯০ এর দশকে। ওই সময়ে বাকের ভাইয়ের চরিত্রে। কিভাবে সমাজকে আন্দোলিত করেছিল একটা নাটক। সমাজকে পরিবর্তন করেছে নাটক। কোনো একটা অন্যায় দেখলে বাকের ভাইয়ের মতো সহজে ছাত্রছাত্রীরা সেটার প্রতিবাদ করতো নাটকের মাধ্যমে। মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়ে যাচ্ছে সব জায়গায়। আমাদের দরকার কোথাও কেউ নেই ধারণা নাটক।

এসময় উদ্বোধনী নাট্যভাষণে বরেণ্য আসাদুজ্জামান নূর (এমপি) বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে তত্ত্ব, ইতিহাস পড়ানো হয়ে থাকে কিন্তু নাট্যকলায় অভিনয়শিল্পীকে মূলত শিখতে হয় কিভাবে দর্শকের সাথে যোগাযোগ সৃষ্টি করতে পারি আর অভিনয়টা দর্শকরা কতটা হৃদয়ে ধারণ করেছেন তার মধ্য দিয়ে। আমি মূলত নানা মানুষের নানান বিচিত্র জিনিস দেখে শিখি, তবে বর্তমানে যারা একাডেমিকভাবে শিক্ষা গ্রহণ করছে তারা ভাগ্যবান, দুটোই শিখছে। যেমনিভাবে পাঠ্যপুস্তকের বাইরে অনেক বই পড়লে জ্ঞানী হওয়া যায়, তেমনিভাবে এই শিক্ষার্থীরা মানুষকে যত বেশি দেখবে, জানবে তত বেশি শিখবে।

নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান ক্যাথরিন পিউরীফিকেশনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী (২৮-৩০ জানুয়ারি) নাট্যোৎসবে প্রতিদিন ২টি করে (দুপুর ১২টা ও সন্ধ্যা ৬টায়) নাটক প্রদর্শনী হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর