ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মুখোমুখি অবস্থানে জাবি ছাত্রলীগের দু’পক্ষ, উত্তেজনা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
মুখোমুখি অবস্থানে জাবি ছাত্রলীগের দু’পক্ষ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৩ জানুয়ারি ক্যাম্পাস থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন ৬ হলের তারই অনুসারীরা। এদিকে, অবাঞ্ছিত ঘোষণার ৮ দিন পর বুধবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা ও শেখ রাসেল হলে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে শাখা ছাত্রলীগ।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মারমুখী অবস্থানে ছিল ‘বিদ্রোহী গ্রুপ’ নামে পরিচিত লিটনের ৬ হলের অনুসারীরা ও সম্পাদকের হলের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে, ওইরাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিদ্রোহী গ্রুপ। এসময়, তারা সম্পাদক হাবিবুর রহমানের ক্যাম্পাস ত্যাগের দাবি জানান।

জানা যায়, প্রায় ১ বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম। এরই মধ্যে জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েন শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পের লাখ লাখ টাকা লোপাট করা, নিয়োগ বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, দীর্ঘদিন ধরে হল কমিটি না দেওয়া, নেতাকর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করাসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তুলে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন নেতাকর্মীরা। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত ২৭ জানুয়ারি ১০ দিনের সময় বেধে দিয়ে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

এদিকে তদন্ত চলাকালে এবং শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে কোনো ধরনের আলোচনা না করেই শেখ রাসেল ও শেখ হাসিনা হলে নতুন কমিটি দেয় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগের বিদ্রোহী পক্ষ।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেলিন মাহবুব বলেন, অবাঞ্ছিত সম্পাদক কিভাবে হল কমিটি দেয় তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা এসব হল কমিটি মানি না। অবিলম্বে লিটনকে ক্যাম্পাস ছাড়তে হবে। নইলে ধারাবাহিকভাবে আমাদের আন্দোলন চলবে।

তবে নিয়মতান্ত্রিকভাবেই হল কমিটি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘যতদিন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে কোনো ধরনের দিকনির্দেশনা না আসছে, ততদিন জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লিটনই থাকবে। যে ৬টি হল তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে, সে হলগুলোতে আমরা কমিটি দেব না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে জানিয়ে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, মুখোমুখি অবস্থানের ঘটনাটি ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ দেখবে। এক্ষেত্রে আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না। ক্যাম্পাসে যেন বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য আমরা সর্বদা তৎপর রয়েছি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর