জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মোশাররফ হোসেন হলের পাশের জঙ্গলে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারফত জানা গেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মুস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এই নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছেন।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদ তাদের আন্দোলনে পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছে, একইসাথে ঘটনায় জড়িত সকলকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি দীপক শীল এবং সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজা বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনা আমাদের দেখিয়ে দিল আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের জন্য নিরাপদ নয়। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের মদদে ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় যে ভয় এবং ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তারই ফলস্বরূপ গতকালের নৃশংস ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে নিরাপদ বানাবার জন্য লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের আটক ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছে। আমরা তাতে পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছি।
তবে আমরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, আরেকটি সেঞ্চুরি মানিকের ঘটনার মঞ্চায়ন করবার চেষ্টা চালানো হলে তার পরিণতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের জন্য সুখকর হবে না। অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন সারাদেশের সকল শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পরবে। তার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের ভয় এবং ত্রাসের রাজত্বের অবসান ঘটানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত