ঢাকা, সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ইবিতে শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
অনলাইন ডেস্ক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) র‍্যাগিংয়ের নামে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তথ্য উদ্‌ঘাটন করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুটি পৃথক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শার্মাকে আহ্বায়ক, আইন প্রশাসক অধ্যাপক আনিসুর রহমান এবং সহকারী প্রক্টর মিঠুন বৈরাগীকে সদস্য করা হয়েছে।

এদিকে হল কর্তৃপক্ষের গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষক আলতাফ হোসেনকে আহ্বায়ক এবং হলের সহকারী রেজিস্ট্রার জিল্লুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া আবাসিক শিক্ষক আব্দুল হালিম ও হেলাল উদ্দিনকে সদস্য করা হয়েছে।

অফিস আদেশে বলা হয়, র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি সহকারী প্রক্টরের মাধ্যমে অবহিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক অভিযোগ করা রুমে তদন্ত করা হয়। কিন্তু সে সময় রুমে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার যথাযথ তথ্য উদ্‌ঘাটন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হলো।

জানা যায়, ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ভুক্তভোগীকে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়েছেন এবং এমন ধরনের ঘটনা ঘটেনি মর্মে একটি আবেদনও দিতে বলা হয়েছে।

এ বিবস্ত্র নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ এবং লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী অপু মিয়া। অভিযুক্তরা হলেন, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মুদাচ্ছির খান কাফি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ সাগর। অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী এবং হলের ১৩৬ নং কক্ষে থাকেন।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমরা র‍্যাগিংয়ের বিষয়ে কনসার্ন আছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা র‍্যাগিংয়ের বিষয়ে আপোষহীন।

প্রসঙ্গত,  গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ১৩৬ নং কক্ষে (গণরুম) এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীকে নানা কুরুচিপূর্ণ আচরণ করতে বললে, সে অস্বীকৃতি জানায়। এতে তাকে বার বার রড দিয়ে আঘাত করতে থাকেন অভিযুক্তরা। পরে তারা জোরপূর্বক উলঙ্গ করে টেবিলের উপর দাড় করিয়ে রাখে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে। তাকে নাকে খত দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর